LIVE
Loading latest headlines...

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

*দু'আ (মৃত্যুর পূর্বাপর)* *মোট দু'আ-২০ টি* *সকল দু'আ একত্রে*

শুক্রবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে





১. মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালকীন (পড়ে শোনানো) করবে

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ

উচ্চারণঃ লাা ইলাহা ইল্লাল্লাাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ।

অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার রাসুল।


২. মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ
ٰاَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى

উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লাা

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।


৩. রুহ্‌ বের হচ্ছে অনুভব হলে পড়বে
اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ

উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলাা গমারাা তিল মাউতি ওয়া সাকারাা তিল মাঊত।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি মৃত্যুর কষ্ট ও মৃত্যুর যন্ত্রণায় আমাকে সাহায্য করুন।


৪. কবর যিয়ারতের দু‘আ
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ القُبُورِ، يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ، أَنْتُمْ سَلَفُنَا، وَنَحْنُ بِالأَثَرِ

উচ্চারণঃ আসসালাামু ‘আলাইকুম ইয়াা আহলাল ক্বুবূরি ইয়াগফিরুল্লাাহু লানাা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনাা ওয়া নাহনু বিল আসার।

অর্থঃ হে কবরবাসীগণ! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বে গমনকারী। আমরাও আপনাদের পিছনে পিছনে আসছি।


৫. লাশ যদি নাবালক ছেলে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহুলানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহুলানা আজরাও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহুলানা শাফিয়ান ওয়া মুশাফ্ফাআন।

অর্থঃ হে আল্লাহ! উহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও উহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর এবং উহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।


৬. লাশ যদি নাবালেগা মেয়ে হয় তবে নিচের দু‘আ পড়তে হবে
ًاَللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَّذُخْرًا وَّاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَّمُشَفَّعَة

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাজ আলহা লানা ফারতাঁও ওয়াজ আলহা লানা আজরাঁও ওয়া যুখরাঁও ওয়াজ আলহা লানা শা-ফিয়াতান ওয়া মুশাফ্ফায়াহ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! ইহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামী কর ও ইহাকে আমাদের পুরস্কার ও সাহায্যের উপলক্ষ কর। এবং ইহাকে আমাদের সুপারিশকারী ও গ্রহনীয় সুপারিশকারী বানাও।


৭. পিতা-মাতার জন্য দু’আ
رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا  كَـمَـا رَبَّيَانِي صَـغِـيْـرًا

উচ্চারণঃ রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।


৮. জানাযা নামাযের দু‘আ
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ.

উচ্চারণঃ আল্লাাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনাা ওয়া মায়্যিতিনাা ওয়া শাা হিদিনাা ওয়া গাা ইবিনাা ওয়া সগী রিনাা ওয়া কাবী রিনাা ওয়া যাকারিনাা ওয়া উনসাা নাা, আল্লাাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু মিন্নাা ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাাম, ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্নাা ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈ মাান।

অর্থঃ হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।


৯. কারোর আপনজন মারা গেলে এ দু‘আ দ্বারা সান্ত্বনা দিবে
اِنَّ لِلّٰهِ مَا اَخَذَ وَلِلّٰهِ مَا اَعْطٰی وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهٗ بِاَجَلٍ مُّسَمًّى فَاصْبِرْ وَاحْتَسِبْ

উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লাাহি মাা আখযা ওয়া লিল্লাহি মাা আ‘ত্বাা ওয়া কুল্লু শাই ইন ‘ইনদাহূ বিআজালিম মুসাম্মান ফাসবির ওয়াহ তাসিব।

অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ পাকেরই যা তিনি নিয়ে নিয়েছেন, আর যা প্রদান করেছেন তাও আল্লাহ পাকেরই এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রত্যেকের মৃত্যুকাল নির্ধারিত রয়েছে।সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সওয়াব-এর আশা কর।


১০. মুর্দাকে ডান কাতে রাখার সময় এ দু‘আ পড়বে
بِاسْمِ اللهِ وَعَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাাহি ওয়া ‘আলাা মিল্লাতি রসূলিল্লাাহ।

অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলার নামের সাথে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মিল্লাতের (সুন্নাতের) উপর (আমরা একে দাফন করছি)।


১১. কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে পড়ার দু‘আ
কোনো মুসলমানের লাশ দাফনের সময় কবরে তিনবার মাটি দেওয়া মুস্তাহাব।

উচ্চারণঃ প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় বলবে- مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ (মিনহাা খলাক্বনাা কুম) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। দ্বিতীয়বার বলবে- وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (ওয়া ফী হাা নু‘ঈ দুকুম) এ মাটির মধ্যেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব। তৃতীয়বার বলবে- وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى (ওয়া মিনহাা নুখরিজুকুম তাা রতান উখরা) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে পুনরায় উঠাবো (সৃষ্টি করব)।


১২. মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ # ২
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٍ

উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ইন্না লিল মাওতি সাকারা-তিন

অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, নিশ্চয় মৃত্যুর রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভয়াবহ কষ্ট।


১৩. মুত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ # ৩
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

উচ্চারণঃ (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, যাবতীয় রাজত্ব তাঁরই, তার জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই।


১৪. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর সময় পড়বে
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهِ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লি ফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্‌ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউইর লাহু ফী-হি

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।


১৫. মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ ১
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]

উচ্চারণঃ (আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, ওয়ারহামহু, ওয়া ‘আ-ফিহি, ওয়া‘ফু ‘আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়াওয়াসসি‘ মুদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্‌সালজি ওয়ালবারাদি, ওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসি, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহি, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আ‘য়িযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া ‘আযাবিন্না-র])

অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিন, তার মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন। আর আপনি তাকে ধৌত করুন পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে, আপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন। আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন। আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন”


১৬. মৃত ব্যক্তির (রুহের জন্য) জন্য দোয়া #২
اللَّهُمَّ إِنَّ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ فِي ذِمَّتِكَ، وَحَبْلِ جِوَارِكَ، فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ، وَعَذَابِ النَّارِ، وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ، فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرَّحيمُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ওয়া হাবলি জিওয়ারিকা, ফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রি, ওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্ক, ফাগফির লাহু ওয়ারহামহু, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম

অর্থঃ হে আল্লাহ, অমুকের পুত্র অমুক আপনার যিম্মাদারীতে, আপনার প্রতিবেশিত্বের নিরাপত্তায়; সুতরাং আপনি তাকে কবরের পরীক্ষা থেকে এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আর আপনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণকারী এবং প্রকৃত সত্যের অধিকারী। অতএব, আপনি তাকে ক্ষমা করুন এবং তার উপর দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।


১৭. মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ - ৩
اللَّهُمَّ عَبْدُكَ وَابْنُ أَمَتِكَ احْتَاجَ إِلَى رَحْمَتِكَ، وَأَنْتَ غَنِيٌّ عَنْ عَذَابِهِ، إِنْ كَانَ مُحْسِناً فَزِدْ فِي حَسَنَاتِهِ، وَإِنْ كَانَ مُسِيئاً فَتَجَاوَزْ عَنْهُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আবদুকা, ওয়াবনু আমাতিকা, এহতাজা ইলা রাহমাতিকা, ওয়া আনতা গানিয়্যুন ‘আন ‘আযা-বিহি, ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদ ফী হাসানা-তিহি, ওয়া ইনকা-না মুসীআন ফা তাজা-ওয়ায ‘আনহু

অর্থঃ হে আল্লাহ, আপনার এক দাস, আর এক দাসীর পুত্র, আপনার অনুগ্রহের মুখাপেক্ষী, আপনি তাকে শাস্তি দেওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী। যদি সে নেককার বান্দা হয়, তবে তার সওয়াব আরও বাড়িয়ে দিন, আর যদি বদকার বান্দা হয়, তবে তার অপরাধকর্ম এড়িয়ে যান।


১৮. শোকার্তদের সান্ত্বনায় বলবে
إِنَّ للَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمَّى... فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ

উচ্চারণঃ ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযা, ওয়ালাহু মা আ‘তা, ওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব

অর্থঃ নিশ্চয় যা নিয়ে গেছেন আল্লাহ্‌ তা তাঁরই, আর যা কিছু প্রদান করেছেন তাও তাঁর। তাঁর কাছে সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সবর করা এবং সওয়াবের আশা করা উচিৎ


১৯. শোকার্তদের সান্ত্বনায় বলবে # ২
أَعْظَمَ اللَّهُ أَجْرَكَ، وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَغَفَرَ لِمَيِّتِكَ

উচ্চারণঃ আ‘যামাল্লাহু আজরাকা, ওয়া আহসানা ‘আযা-’আকা, ওয়াগাফারা লিমাইয়্যিতিকা।

অর্থঃ আল্লাহ আপনার সওয়াব বর্ধিত করুন, আপনার (শোকার্ত মনে) সুন্দর ধৈর্য ধরার তাওফীক দিন, আর আপনার মৃতকে ক্ষমা করে দিন।


২০. নাবালক মাইয়্যেতের জন্য দু‘আ

اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আ‘য়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি

অর্থঃ হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।


খুবই মূল্যবান ৩০টি ছোট হাদিস

শুক্রবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে



খুবই মূল্যবান ৩০টি ছোট হাদিস যা সবার পড়া উচিৎ

১। রাসূল (সা:)বলেছেন আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়। (সহীহ বুখারীঃ ৩২১৫)

২। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শোনে (যাচাই ব্যতীত) তাই বলে বেড়ায়। (সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা, অনুচ্ছেদ ৩)

৩। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে। (দেখুন সহীহ বুখারীঃ ১০৭,১০৯,১০৯,১১০,১১১ সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা)

৪। পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা- মাতার অসন্তুষ্টে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট। (তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)

৫। পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সলাতের সওয়াব পাওয়া যায় (সহীহ বুখায়, মুসলিম ও তিরমিযীঃ ২১৩)

৬। ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝ খানে সলাত ছেড়ে দেওয়াই হচ্ছে ব্যবধান। (সহীহ মুসলিমঃ ১৫৪,১৫৫, মিশকাত)

৭। ক্বিয়ামতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম সলাতের হিসাব নেওয়া হবে। (সহীহ তিরমিযীঃ ৪১৩, ইবনু মাযাহঃ ১৪২৫,১৪২৬)

৮। যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামায আদায় করবে সে জান্নাতে যাবে। (সহীহ বুখারীঃ ৫৪৬)

৯। আল্লাহ্ তা'আলার নিকট প্রিয় ঐ আমল যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪১,৬০২০)

১০। যে ব্যক্তি (পুরুষ) পায়ের টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, সে জাহান্নামী। (সহীহ বুখারীঃ৫৩৭১, মিশকাত, হা/৪১২৫)

১১। কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে। (বুখারী, হা/৫২৮৬ ও মুসলিম)

১২। নবী করীম (সাঃ) মিষ্টি ওমধু খুব ভালো বাসতেন। (বুখারী, হা:৫২৮০)

১৩। যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষন (অনিহা প্রকাশ) করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪৬৯৭)

১৪। যে ব্যক্তি বিদআত সৃষ্টি করবে ও আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্ তা'আলার, ফেরেশতা ও সকল মানব সম্প্রদায়ের লানত । (সহীহ বুখারীঃ ৬৮০৮)

১৫। যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ ঈমান আছে, সে জাহান্নামে যাবে না। আর যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)। সরিসা পরিমান ইমানের পরিচয় হল ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরা। যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে না অর্থাৎ ৪,৩,২,১ ওয়াক্ত নামাজ পরে সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।যেমন থাকবে ইহুদি,নাসারা,হিন্দু ,আর ও অন্ন ধমে'র লোকেরা চিরস্থায়ী জাহান্নামে তেমনি থাকবে বেনামাজি,৪,৩,২,১ ওয়াক্ত নামাজিরা। আল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজি কে নামাজি গন্ন করেন। ৪,৩,২,১ ও বেনামাজি কে আল্লাহ নামাজি মনে করেন না।

১৬। যে ঘরে কুকুর ও (প্রাণীর) ছবি থাকে,সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (সহীহ বুখারীঃ ২৯৯৮, ৫৫২৫, মিশকাত হাঃ৪২৯৮)

১৭। তিন ব্যক্তির দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাদের দিকে করুণার দৃষ্টি দিবেন না ও তাদের জন্য কঠিন শাস্তি (ক) গিঁটের নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ (খ) খোঁটাদানকারী (গ) মিথ্যা কসমে পণ্য বিক্রয়কারী। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৭৩)

১৮। "যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ জিহাদ করেনি এমনকি জিহাদের আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল।" (সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৯, নাসায়ীঃ ৩০৯৯)

১৯। আত্নীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়। (সহীহ বুখারীঃ ৫৫৫৯,৫৫৬০)

২০। কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ্ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ্ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চায়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি। (সহীহ বুখারী, হা/১৪৬৯, সহীহ মুসলিম, সহীহ আবু দাউদ, হা/১৬৪৪)

২১। বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে (সত্তর হাজার) ওসব লোক যারা অশুভ অমঙ্গল চিহ্ন মানে না,যারা ঝাড়-ফুক করায় না, যারা মন্ত্রতন্ত্রের ধার ধারে না এবং আগুনে পোড়া লোহার দাগ লাগায় না ; বরং সদা সর্বদা তাদের পরোয়ারদেগারের উপর পূর্ণ ভরসা রাখে। (সহীহ বুখারী, হাদিস ৫৩৪১,৬২৮,৬০৯৯)

২২। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। (সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭৮)

২৩। যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু'আ করে, তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরুপ হবে। (সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ,হাঃ১৫৩৪)

২৪। কোন ব্যক্তির মন্দ হওয়ার জন্য অশ্লীল বাকচারী ও কৃপণ হওয়াই যথেষ্ট। (আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৯৩)

২৫। রাসূল বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। (সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান, ত্বাবরানী, আল্লামা আলবানী রহ. এর সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহীহা খণ্ড দুই হাদিস নং-৯৭২)

২৬। যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উযূকে পূর্ণাঙ্গরুপে সম্পন্ন করে, তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করে,তার জন্য জান্নাতের ৮(আট)টি দরজা খুলে যায় । সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে । (সহিহ মুসলিমঃ ৪৬০, তিরমিযীঃ৫৫, ইবনু মাযাহঃ ৪৭০)

২৭। যে ব্যক্তি দিবসে ১ বার ও রাতে ১ বার আন্তরিকতার সাথে সােয়্যদুল ইস্তেগফার পাঠ করে যদি সে দিন বা রাতে মারা যায়, তাহলে ওই ব্যক্তি জান্নাতি । ( সহিহ বুখারী-৫৮৬৭)

২৮। ওযু করার সময় কেউ যদি উত্তমরূপে ওযু করে তাহলে তার শরীরের সব গুণাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচের গুণাহও বের হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিমঃ ৪৮৪,৪৮৫)

২৯। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরান শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪৬৬১,৪৬৬২)

৩০। কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চ মর্যাদা ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরাআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (সহীহ বুখারী-৪৯৩৭, মুসলিম আবু দাউদ ১৪৫)

---------------------------------------
মহান আল্লাহ, 'আমাদের সকলকে আমলগুলো করার তৌফিক দান করুন' (আমীন)।


*জানাযার সালাত*

শুক্রবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে



🔺আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

*তিনি বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে নাজাশীর মৃত্যু খবর জানালেন, পরে তিনি সম্মুখে অগ্রসর হলেন এবং সাহাবীগন তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হলে তিনি চার তাক্‌বীরে (জানাযার সালাত) আদায় করেন।”*

👉(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৪৫, ১৩১৮-১৯)
👉(সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৫১)
👉(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩২০৪)
👉(সুনানে আন নাসায়ী, হাদীস ১৯৭১)
👉(জামে আত তিরমিযী, হাদীস ১০২২)
👉(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৫৩৮)

🪴 পদ্ধতি ::

(১) নিয়ত করা

(২) ইমামের প্রথম তাকবীর [আল্লাহু আকবর] বলার পর হাত বাঁধা এবং সূরা আল ফাতিহা পাঠ করা + অন্য কোনো সূরা/সূরার অংশ পাঠ করা।

(৩) দ্বিতীয় তাকবীর বলার পর, দরুদ শরীফ [দরুদে ইব্রাহীম] পাঠ করা।

(৪) তৃতীয় তাকবীর বলার পর, মৃত ব্যক্তির জন্য আন্তরিকভাবে ইখলাসের সাথে দুয়া করা।

(৫) চতুর্থ তাকবীর পর, সালাম ফিরানো (ডান দিকে একবার ফেরালেই যথেষ্ট)


নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় সুন্নতসমূহ...

শুক্রবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে




(১) উভয় পায়ের আঙ্গুল সমূহ কিবলামুখী রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল; ঊর্ধ্বে এক বিঘত পরিমান ফাঁকা রাখা।
- নাসাঈ ৮৯২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৭০৬৩

(২) তাকবীরে তাহরিমার সময় চেহারা কেবলার দিকে রেখে নজর সিজদার জায়গায় রাখা এবং হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুঁকানো।
- তিরমিজি ৩০৪, মুসলিম ৩৯৭

(৩) পুরুষের জন্য তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো –অর্থাৎ উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী কানের লতি পর্যন্ত উঠানো।
- মুসলিম ৩৯১

(৪) হাত উঠানোর সময় উভয় হাতের তালু কিবলামুখী রাখা।
- তাবারানি আউসাত ৭৮০১

(৫) হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিক ভাবে রাখা অর্থাৎ একেবারে মিলিয়েও না রাখা আবার বেশি ছড়িয়েও না রাখা।
- মুস্তাদরাকে হাকিম–৮৫৬

(৬) মুক্তাদির তাকবীরে তাহরীমা ইমামের তাকবীরে তাহরিমার পর সাথে সাথে হওয়া। তবে মনে রাখতে হবে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরিমা যদি ইমামের আগেই সমাপ্ত হয়ে যায় তাহলে ইকতিদা সহিহ হবে না।
- বুখারী ৭৩৪, মুসলিম ৪১৫

(৭) হাত বাধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রাখা।
- মুসান্নাফি ইবনে আবী শাইবা ৩৯৪২

(৮) ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি বেষ্টন করে ধরা।
- (তহতবী ১৪১ পৃষ্ঠা, তিরমিজি ১ম খন্ড ৩৪ পৃষ্ঠা - ২৫০)

(৯) মাঝের তিন আঙ্গুল বাহুর উপর স্বাভাবিকভাবে রাখা।
- ফাতহুল কাদির ১ম খন্ড ২৫০ পৃষ্ঠা, তহতবী ১৪১ পৃষ্ঠা

(১০) নাভির নিচে হাত বাধা (পুরুষের জন্য)।
- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৩৯৪২

(১১) সানা অর্থাৎ সুবহানাকাল্লাহুম্মাহ শেষ পর্যন্ত পড়া।
- মুসতাদরাকে হাকিম ৭৯০
_______ _______

( মৃত্যু...❌

মৃত্যু আসিতেছে...❌
যেকোনো সময়...❌ 
যেকোনো জায়গায়...❌ 
যেকোনো অবস্থায়...❌ 
আমাকে থামিয়ে দিবে...❌

অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...❌ 

আমি কি তৈরি...❓ 

আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...) 
-------------
{ প্রতিনিয়ত ঈমান আমল সংক্রান্ত দ্বীনি এরকম ভিন্ন ভিন্ন উপকারী পোস্ট পেতে নিচের লিংকে জয়েন থাকুন। }


বাড়িঘরের ৫টি স্থানে শয়তান অনেক সময় ‘বসত’ গাড়ে

শুক্রবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে


আমাদের বাড়িঘরের ৫টি স্থানে শয়তান অনেক সময় ‘বসত’ গাড়ে। এসব স্থান সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী। ঘরে ঘরে নানাবিধ সমস্যা এবং বিশেষ করে ঘরে ছোট সন্তান থাকলে তাদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে সতর্ক থাকা আরো জরুরী। 

১) দীর্ঘদিন যাবত যে বিছানায় কেউ শোয়নি। 
শয়তান এমন বিছানা দখল করে বসে। নবীজি (ﷺ) বলেছেন, পুরুষের জন্য একখানা চাদর, তার স্ত্রীর জন্য একখানা চাদর এবং তৃতীয়টি অতিথির জন্য। আর চতুর্থটি শয়তানের জন্য (মুসলিমঃ ২০৮৪)।

▪️বাসীরাহঃ এজন্য অব্যবহৃত বিছানা ভাঁজ করে রাখা নিরাপদ। ভাঁজ না করতে পারলে নিয়মিত বিছানা ঝাড়া উচিত। অথবা আয়াতুল কুরসি ও রুকইয়ার আয়াত পড়ে ফুঁ দেয়া পানি ছিটানো উচিত। দুই বা তিনদিন পরপরই এমনটি করা উচিত।(লম্বা সময়ের জন্য বাড়ি বন্ধ রেখে সফরে গেলে উপরের চাদর ভাঁজ করে বা গুটিয়ে রেখে যাওয়া উচিৎ)

২) হাম্মাম (বাথরুম)। 
এটা সবার জানা আছে। হাম্মামে সবচেয়ে দুষ্ট আর খবিস প্রকৃতির শয়তানরাই থাকে। জ্বিন শয়তানও থাকে। এজন্য হাম্মামে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা ভীষণ জরুরী। নবীজি (ﷺ) বলেছেন, এসব পায়খানার স্থান হচ্ছে (জ্বিন ও শয়তানের) উপস্থিতির স্থান। সুতরাং যারা পায়খানায় যাবে তারা যেন এ দোয়া পড়েঃ 
‎أعوذُ باللهِ مِن الخُبُثِ والخبائثِ
অর্থাৎ- আমি নাপাক নর-নারী শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই (আবু দাউদঃ ০২)।

▪️বাসীরাহ: বের হওয়ার পরে "গুফরানাক" পড়ুন। যাদের এটাষ্ট বাথরুম তারা সদা দরজা বন্ধ রাখার অভ্যাস করুন। সন্ধ্যার আগে টয়লেটের ছোট জানালা পারলে বন্ধ করুন। প্রয়োজনে সন্ধ্যার পরে আবার খুলুন।

৩) দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা অব্যবহৃত, অধোয়া জামাকাপড়। 
আলমারি ওয়ার্ড্রবে দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা পোশাকাশাকও এই ঝুঁকির আওতামুক্ত নয়। নবীজি (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখো। কারণ, এসব জামাকাপড়ের কাছে দুষ্টজ্বিনেরা ফিরে ফিরে আসে। আর শয়তান ভাঁজ করা জামাকাপড় পড়েনা। মেলে দেয়া পোশাক পেলে পড়ে। (সিলসিলাহ যয়ীফাঃ ২৮০১)।

▪️বসীরাহঃ আমরা অনেকেই জামাকাপড় ঝুলিয়ে রাখি। হাতের নাগালে রেখে, যখন ইচ্ছা পরার সুবিধার্থে আমরা সাধারণত জামাকাপড় লটকে রাখি। দীর্ঘ সময় ব্যাপি ঝুলে থাকা কাপড় পড়ার সময় যে কোনো ক্ষতি-অনিষ্ট থেকে বাঁচতে হলে, এসব পোশাকে কুরআন পড়া /ফাতিহা পড়া পানি ছিটিয়ে দেয়া নিরাপদ। মাঝেমধ্যে আলমারি, ওয়ার্ড্রব খুলে জামাকাপড়ে সূরা ফাতিহা ও আয়াতুল কুরসি পড়ে ফুঁ দিতে পারি। পোশাক পরিধানের দূয়া আমাদের জন্য নিরাপত্তা কবচ। মাগরিবের আগেই বাহিরে মেলে দেয়া কাপড় শুকিয়ে গেলে উঠিয়ে নেয়া উত্তম। 

৪) প্রাণী বা মানুষের মূর্তি ও পুতুল। 
এসব পুতুল-মূর্তি ঘরে থাকলে, ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশের জন্য বাধা স্বরুপ। ফেরেশতার আগমন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে, এসব পুতুল-মূর্তির আড়ালে শয়তান (দুষ্ট জ্বিন) আশ্রয় গ্রহণ করে। নবীজি (ﷺ) বলেছেন, যে ঘরে কুকুর ও মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না (মুসলিমঃ ২১০৬)।

▪️বসীরাহঃ আরেক বর্ণনায় আছে, ঘরে  অংকিত বা লটকানো ‘ছবি’ থাকলেও ফেরেশতা প্রবেশ করে না। বাথরুমের শ্যাম্পু, টুথপেষ্ট এর গায়ে বিজ্ঞাপনের মডেলের ছবি মুছে ফেলা, দেয়ালের ক্যালেন্ডারে কি আছে খেয়াল করা জরুরী। 

৫) আগুন জ্বালানোর স্থান। 
উনুন-চুলা।এসব স্থান জ্বিন-শয়তানের খুবই প্রিয় জায়গা। কারণ তারা আগুনেরই সৃষ্টি। এজন্য যখনই আগুনের কাছে যাবো, রান্নাবান্নার কাজে চুলার কাছে যাবো, মুখে মনে আল্লাহর যিকির করার অভ্যেস গড়ে তুলব। ইন শা আল্লাহ।

▪️বাসীরাহ: চুলা জালাবার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা এবং মাঝে মাঝে সূরা ফাতিহা লবন মিশ্রিত পানিতে ফুঁকে ঘর-দোর মোছা উত্তম অভ্যাস।

নাউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম। ইয়া আল্লাহ, আমাদেরকে ও আমাদের সন্তান-সন্ততিকে জ্বিন-শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন। আমীন।

মূল লিখা- শায়েখ আতিকুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ। 
ইষ্যত পরিমার্জিত ও সম্পাদিত- সাইফুল্লাহ।
Abdul Hi Muhammad Saifullah


ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png