LIVE
Loading latest headlines...

বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

মাত্র ৪০ দিনে নিজের জীবন পরিবর্তনের ২০টি চ্যালেঞ্জ

বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে



মাত্র ৪০ দিনে নিজের জীবন পরিবর্তনের ২০টি চ্যালেঞ্জ-

১. ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত করা।
২. ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া পড়া, মেসওয়াক করা।
৩. ওযুর করার পড়ে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।

৪. রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
৫.ফযরের আগে গোসল করা।
৬. আযান শোনা ও আযানের উত্তর দেওয়া।

৭.ফযরের সুন্নত ও ফরজ আদায় করা।
৮. সূর্যোদ্বয়ের আগে কোরআন তিলাওয়াত করা।
৯. সূর্যোদ্বয়ের পরে ইশরাকের নামাজ আদায় করা।

১০. প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা।
১১. সালাতুল দোহা আদায় করা।
১২. সময়মতো ফযর, যোহর, আছর,
মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করা।

১৩. প্রতি ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি, ৩ কুল পাঠ করা।
১৪.প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নত রোজা রাখা।
১৫. প্রতিমাসে আইয়ামে বীজের রোজা রাখা।
১৬. প্রতি শুক্রবার সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।

১৭. প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়াহ ও সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা।
১৮. প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক ও
সূরা বাক্কারার শেষ ২ আয়াত তিলাওয়াত করা।
১৯.প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে
ক্ষমা চাওয়া। আর সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া।

২০. দিনে অন্তত ৭০ বার ইস্তেগফার করা।
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং সবাইকে
বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন। আ-মীন।


_*শুধুমাত্র বিশ্বাসী সেইসব ব্যক্তিবর্গের জন্যই এই পোস্ট যারা ভালোবেসে সুন্নাতকে নিজেদের জীবনে ধারণ করেন। এর বাইরে যারা এই পোস্ট পাঠ করবেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং শুভকামনা।*_




প্রতিবেশী

বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে






“হে মুসলিম রমনীগণ! কোনো প্রতিবেশিনী যেন অপর প্রতিবেশিনীকে তুচ্ছজ্ঞান না করে, এমনকি বকরীর একটি ক্ষুর উপঢৌকন পাঠালেও নয়।” *(বুখারী, হাদিস নং- ২৪২৭)*

“হে আবূ যর! যখন তুমি তরকারি পাকাও, তখন তাতে একটু বেশি পানি দিয়ে ঝোল বাড়াও এবং তোমার প্রতিবেশিকে পৌঁছাও।” *(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৮৫৫)*

আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে বললেন: আমার তো দুইজন প্রতিবেশী আছে, আমি তাদের কার কাছে উপঢৌকন পৌঁছাবো? 
তখন তিনি বললেন:
“উভয়ের মধ্যে যার ঘর তোমার বেশি কাছে হয়, তার কাছে পাঠাও।” *(বুখারী, হাদিস নং- ২১৪০)*

এক মহিলা খুব নামাজ পড়ে। রোজা রাখে। দান-সদকাও করে। কিন্তু কথা বলার সময় প্রতিবেশীকে খোঁচা মেরে কথা বলে। কষ্ট দেয়। এমন মহিলার ব্যাপারে আপনার কী অভিমত ইয়া রাসূলাল্লাহ?
- সে জাহান্নামি!
আরেক মহিলা কোনো মতো ফরজ ইবাদতগুলো করে। অল্পই দান-সদকার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু সে কাউকে খোঁচা মেরে কথা বলে না। এ মহিলার ব্যাপারে আপনার কী অভিমত ইয়া রাসূলাল্লাহ?
- সে জান্নাতি! *[আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী (১১৯); সহিহ ইবনে হিব্বান, (৫৭৬৪)*

অথচ আজকাল ঠেস দিয়ে কথা বলাটা একটা 'যোগ্যতা' জ্ঞান করা হয়। আমরা যতটা ভালো মুসলিম তার জীবন্ত সাক্ষী আমাদের স্বভাব-চরিত্র।


করজে হাসানা উত্তম ইবাদত

বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে





আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের আশায়, সওয়াবের নিয়তে বিনা শর্তে কাউকে ঋণ দিলে তাকে ‘করজে হাসানা’ বা উত্তম ঋণ বলে। উত্তম ঋণ মূলত সেই ঋণ, যা ঋণগ্রহীতাকে চাপে ফেলে না। অর্থাৎ এই ঋণের মূল পয়েন্টই হচ্ছে ঋণদাতা কোনোভাবেই ঋণগ্রহীতাকে ঋণ আদায় করার জন্য তাগাদা দেবে না। যেমনটি সুরা বাকারায় ইরশাদ হয়েছে— ‘যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে তার সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দেওয়া উচিত। আর যদি ক্ষমা করে দাও, তবে তা খুবই উত্তম। যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ (সুরা বাকারা: ২৮০)


গ্রহীতাকে ঋণ পরিশোধের জন্য যত বেশি সময় দেওয়া হয়, ততই ঋণদাতার আমলনামায় সওয়াব যোগ হয়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে পুরো ঋণ শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে—এমন ঋণগ্রস্তকে যে ঋণ পরিশোধ করার জন্য সময় দেয়, ওই ব্যক্তিকে এমন সওয়াব দেওয়া হবে, যেন সে প্রতিদিনই সমপরিমাণ টাকা সদকা করছে। আর ঋণ পরিশোধের সময় চলে যাওয়ার পরও যে ঋণগ্রস্তকে সময় বাড়িয়ে দেয়; তাতে অতিরিক্ত প্রতিটি দিনের জন্য তাকে এমন সাওয়াব দেওয়া হবে, যেন সে প্রতিদিন ধার দেয়া টাকার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা সদকা করছে।’ (মুসনাদে আহমদ)

কোরআন হাদিসে করজে হাসানার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সদকা বা দান ইসলামে সৎকর্ম হিসেবে বিবেচিত হলেও এর চেয়েও উত্তম হচ্ছে করজে হাসানা দেওয়া। আর এ কারণে খোদ সৃষ্টিকর্তাই করজে হাসানা চেয়েছেন তাঁর বান্দাদের কাছ থেকে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে— ‘কে আছো, যে আল্লাহকে করজে হাসানা প্রদান করবে? তিনি তাহার জন্য ইহা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করো, তবে তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী ও ধৈর্যশীল।’ (সুরা তাগাবুন: ১৭)

আল্লাহ তাআলা করজে হাসানা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি; তোমরা যদি সালাত কায়েম করো, জাকাত দাও, আমার রাসুলদের ওপর ঈমান আনো ও সম্মান করো এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ (করজে হাসানা) প্রদান করো, তাহলে তোমাদের পাপ অবশ্যই মোচন করব এবং নিশ্চয়ই তোমাদের দাখিল করব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এরপরও কেউ কুফরি করলে সে তার সরল পথ হারাবে। (সুরা মায়েদা: ১২)

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করে তার দরজায় একটি লেখা দেখতে পেল যে, সদকার নেকি ১০ গুণ বৃদ্ধি করা হয় এবং ঋণ দানের নেকি ১৮ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।’ (সিলসিলা সহিহাহ: ৩৪০৭)

দান বা খয়রাত ফেরত দিতে হয় না কিন্তু করজে হাসানা ফেরত দিতে হয়। এরপরেও প্রায় দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়ার কারণ কী? মূলত আল্লাহপাক প্রতিটি মানুষকে স্বাবলম্বী করার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। এটি স্বাবলম্বী করারই নিদর্শন। হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, ‘কাউকে দুই দিনার ঋণ দেওয়া আমার কাছে এই দুই দিনার সদকা করার চেয়ে বেশি প্রিয়’ (ইবনে আবি শায়বা: ২২৬৮২)

যদিও অনন্যোপায় হলে তবেই ঋণ নেওয়া উচিত, এর আগে নয়। কেননা রাসুল (স.) ঋণ নেওয়া থেকে নিজেকে যতদূর সম্ভব বিরত রাখতেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুসলমানরা, তালির ওপর তালিযুক্ত ছিন্নবস্ত্র পরিধান করা, ঋণ গ্রহণ অপেক্ষা উত্তম, যদি তা শোধ করার শক্তি না থাকে। (মুসনাদ আহমদ)। রাসুলুল্লাহ (স.) আরও বলেছেন, হে মুসলমানরা ঋণ গ্রহণ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, ঋণ রাত্রীকালে মর্ম বেদনা ও দুঃশ্চিন্তা সৃষ্টি করে এবং দিনের বেলায় অপমান ও লাঞ্চনায় লিপ্ত করে। (বায়হাকি)

এরপরও করজে হাসানা আর্থিক ইবাদতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। কোরআনে কারিমে ব্যবহৃত করজে হাসানা (উত্তম ঋণ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহ তাআলার রাস্তায় খরচ করা, অভাবী, এতিম ও বিধবাদের ব্যয়ভার বহন করা, ঋণী ব্যক্তিদের ঋণ পরিশোধে সাহায্য করা এবং নিজ সন্তানাদি ও পরিবারের ওপর খরচ করা। মোটকথা, মানবকল্যাণের যত দিক আছে সবগুলোই এর অন্তর্ভুক্ত। এমনিভাবে কোনো অভাবী ও চিন্তাগ্রস্থকে এই নিয়তে ঋণ দেওয়া যে, ওই ব্যক্তি যদি স্বীয় সামর্থ্য ও চিন্তার দরূণ ঋণ পরিশোধ করতে না পারে, তবে তার কাছে আর চাওয়া হবে না। এটাও করজে হাসানার অন্তর্ভুক্ত।

ইসলামি আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় করজে হাসানার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই দানশীল নর-নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদের দেয়া হবে বহুগুণ। তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার।’ (সুরা হাদিদ: ১৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অন্য মুসলমানের বিপদে-আপদে উত্তম ঋণ দেওয়ার মানসিকতা দান করুন। ঋণগ্রহীতাকে ঋণ পরিশোধের তাওফিক দান করুন। আমিন। (সূত্র- সংগৃহীত)
________ ______

( মৃত্যু...❌

মৃত্যু আসিতেছে...❌
যেকোনো সময়...❌
যেকোনো জায়গায়...❌
যেকোনো অবস্থায়...❌
আমাকে থামিয়ে দিবে...❌

অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...❌

আমি কি তৈরি...❓

আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...) 



গোপন গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়

বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে




গোপন পাপ ধ্বংস ডেকে আনে। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো-

১. আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করে দোয়া করা। তিনি যেন তার অবাধ্যতা, নাফরমানি ও সব ধরনের গুনাহ থেকে রক্ষা করেন।

২. নফস তথা আত্মার সঙ্গে লড়াই করা, মনের কুমন্ত্রণা দূর করা এবং আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করা।

৩. কিয়ামতের দিন গোপন গুনাহকারীদের আমলগুলো ধূলিকণার মতো উড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের কিছু মানুষ সম্পর্কে জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার (বিখ্যাত পাহাড়) শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেক আমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। সাওবান (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের পরিচয় পরিষ্কারভাবে আমাদের কাছে বর্ণনা করুন, যাতে অজ্ঞাতসারে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হই।

তিনি বললেন, তারা তোমাদেরই ভ্রাতৃগোষ্ঠী এবং তোমাদের সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক, যারা একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত কর্মে (গোপন গুনাহ) লিপ্ত হবে। ’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১৮)

৪. আল্লাহ তাআলার উপস্থিতির কথা চিন্তা করা।তিনি আমাকে সর্বদা দেখছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁকে ভয় করা। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘...নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১)

৫. গুনাহ করার সময় এ কথা চিন্তা করা, কেউ কি দেখলে আমি এমন গুনাহ করতে পারতাম? এভাবে নিজের ভেতরের লজ্জাবোধ জাগ্রত করা। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার পরিবারের কোনো প্রভাবশালী সদস্যকে যেমন লজ্জা পাও, আল্লাহকে (কমপক্ষে) তেমন লজ্জা করো। ’ (মুসনাদুল বাজ্জার : ৭/৮৯)

৬. এ চিন্তা করা, গুনাহরত অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে কিভাবে আমি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব? মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিকে (কিয়ামতের দিন) ওই অবস্থায় ওঠানো হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে।
’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২০৬)

৭. অবসরে জিকির ও ফিকিরে থাকার চেষ্টা করা। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে আর বলে, হে আমাদের রব! আপনি এগুলো নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র। আপনি আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯০-১৯১)।

মহান আল্লাহপাক আমাদের সকল গোপন গুনাহ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন।
(সংগৃহীত)
_______ _______

( মৃত্যু...❌

মৃত্যু আসিতেছে...❌
যেকোনো সময়...❌
যেকোনো জায়গায়...❌
যেকোনো অবস্থায়...❌
আমাকে থামিয়ে দিবে...❌

অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...❌ 

আমি কি তৈরি...❓ 

আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...) 
-------------
{ প্রতিনিয়ত ঈমান আমল সংক্রান্ত দ্বীনি এরকম ভিন্ন ভিন্ন উপকারী পোস্ট পেতে আমাদের পেইজে  জয়েন থাকুন।


জুমআর দিনের অত্যন্ত দামী একটি সুন্নত আমল।

বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে



১) “আল্ল-হুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদ, ওয়া 'আলা আ~লি মুহাম্মাদ”

২) “আল্ল-হুম্মা সল্লি'আলা মুহাম্মাদ, আল্ল-হুম্মা বা-রিক 'আলা মুহাম্মাদ”

৩) “আল্ল-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম 'আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ”

৪) “ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু 'আলা রসূলিল্লাহ”

৫) “সল্লল্ল-হু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম”

⭕ কমপক্ষে ১ বার পড়ুন সকল দরুদ গুলি ইনশাআল্লাহ।

⭕ মহান আল্লাহ্ পাক বলেন আমি আল্লাহ্ নিজে ও আমার ফেরেস্তাগন দুরুদ পাঠ করি রাসূল (স.) ওপর সুবহানাল্লাহ্। 

নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবির প্রতি সালাত (দরূদ) পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত (দরূদ) পেশ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’
(সুরা আহজাব : আয়াত ৫৬)

⭕ তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।
 (আবু দাউদ: ১০৪৭)


যে পাপে নিমজ্জিত বেশির ভাগ মানুষ

বুধবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ 0
বার দেখা হয়েছে



গিবত সমাজের বহুল প্রচলিত পাপ। 
এই পাপ নীরব ঘাতকের মতো।
মনের অজান্তেই এটা ব্যক্তির ভালো কাজ বিনষ্ট করে দেয়।
এটি ব্যভিচার ও মরা মানুষের পচা গোশত খাওয়ার চেয়েও নিকৃষ্টতম কাজ।

সমাজের বেশির ভাগ মানুষ এই পাপে নিমজ্জিত।
গিবত শব্দের অর্থ পরনিন্দা করা, 
দোষচর্চা করা, 
কুৎসা রটনা, 
পেছনে সমালোচনা করা, 
কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ অন্যের সামনে তুলে ধরা।
গিবতের পরিচয় সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, 
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 
তোমরা কি জানো গিবত কী? সাহাবিরা বলেন, 
এ ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সর্বাধিক অবগত। 
তখন নবী (সা.) বলেন, (গিবত হচ্ছে) তোমার ভাইয়ের ব্যাপারে এমন কিছু বলা, 
যা সে অপছন্দ করে।
জিজ্ঞেস করা হলো,
‘আমি যা বলছি,
তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, 
তাহলে আপনার অভিমত কী?’
তিনি বলেন, 
তুমি তার (দোষ-ত্রুটি) সম্পর্কে যা বলছ, সেটা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলে তুমি তার গিবত করলে। 
আর যদি সেই (ত্রুটি) তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। *(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৭৪; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৩৪)*

 _গিবতের মূল মাধ্যম চারটি :_ 

১. জিহ্বার গিবত : 
গিবতের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো জিহ্বা। আলাপচারিতা, কথাবার্তা ও বক্তৃতায় জবানের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি গিবত হয়।

২. অন্তরের গিবত : 
কুধারণা করা, হিংসা, অহংকার এবং কেউ গিবত করলে সেটা অন্তর দিয়ে মেনে নেওয়া বা তা সমর্থন করার মাধ্যমে অন্তরের গিবত হয়।

৩. ইশারা-ইঙ্গিতের গিবত : কখনো কখনো চোখ, হাত ও মাথার ইশারার মাধ্যমেও গিবত হয়ে থাকে।

৪. লেখার মাধ্যমে গিবত : মানুষের মনের ভাব ও মতামত প্রকাশের একটি বড় মাধ্যম হলো লেখা। তাই লেখার মাধ্যমেও গিবত হতে পারে। 
ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, ‘লেখার মাধ্যমেও গিবত হয়ে থাকে।
কেননা কলম দুই ভাষার একটি।’ *(ইহয়াউ উলুমিদ্দিন : ৩/১৪৫)*

 _গিবতের বিধান_ 
গীবত করার বিধান দুই ভাগে বিভক্ত। 
(১) গিবত করার বিধান। 
(২) গিবত শোনার বিধান।

১. গিবত করার বিধান : গিবত একটি জঘন্য পাপ। গিবতের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়।

২. গিবত শোনার বিধান : গিবত করা যেমন মহাপাপ, তেমনি খুশি মনে পরনিন্দা শোনাও পাপ। 
মহান আল্লাহ মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন, 
‘তারা যখন অসার বাক্য শ্রবণ করে তখন যেন তা উপেক্ষা করে।’ *(সুরা : কাসাস, আয়াত : ৫৫)*

ওলামায়ে কেরাম বলেন, গিবতকারী ও গিবত শ্রবণকারী উভয়ই সমান পাপী। *(মাওসুআতুল আখলাক : ২/৪০৭)*

 _গিবতের ভয়াবহতা_ 
 _গিবত করা কবিরা গুনাহ_ : 

অন্যান্য পাপের তুলনায় গিবতের প্রভাব ও পরিণাম বেশি ভয়ংকর।
 রাসুলুল্লাহ (সা.) গিবতের ভয়াবহতা বুঝাতে যে উপমা দিয়েছেন, অন্য কোনো মহাপাপের ব্যাপারে এত শক্তভাবে বলেননি।
 যেমন আয়েশা (রা.) বলেছেন, 
আমি একবার ছাফিয়া [রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী]-এর দিকে ইশারা করে বললাম, 
সে তো বেঁটে নারী। 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 
তুমি তো তার গিবত করে ফেললে। *(মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৫৭০৮)*

অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, তুমি এমন একটি কথা বলেছ, যদি তা সমুদ্রে মিশিয়ে দেওয়া হয়, তবে সমুদ্রের পানির রং পাল্টে যাবে। *(তিরমিজি, হাদিস : ২৫০২)*

 _মানুষের গোশত খাওয়ার চেয়েও নিকৃষ্ট পাপ_ 
মানুষের গোশত খাওয়া হারাম। 
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ গিবত করাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
 ইরশাদ হয়েছে, 
‘আর তোমরা ছিদ্রান্বেষণ করো না এবং পরস্পরের পেছনে গিবত করো না। 
তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? 
আসলে তোমরা সেটি অপছন্দ করে থাক।’ *(সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)*

 _ব্যভিচার ও সুদের চেয়েও নিকৃষ্ট পাপ_ 

সমাজে প্রচলিত পাপগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় জঘন্য পাপ হলো ব্যভিচার ও সুদ। আর ব্যভিচার ও সুদের চেয়েও ক্ষতিকর ও নিকৃষ্ট পাপ হলো গিবত। বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, গিবতের ৭২টি দরজা আছে। তন্মধ্যে নিকটবর্তী দরজা হলো কোনো পুরুষ কর্তৃক তার মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া। আর সবচেয়ে বড় সুদ হলো অন্য ভাইয়ের সম্মানহানি করা (অর্থাৎ গিবত করা)। *(সহিহুল জামে, হাদিস : ৩৫৩৭)*

 _গিবতকারী কবরে শাস্তি পাবে_ 
মৃত্যুর পর থেকেই গিবতকারীর পরকালীন শাস্তি শুরু হয়ে যায়। ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) একদা দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন।
 এ সময় তিনি বলেন, 
এদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্ক থাকত না। আর অন্যজন চোগলখুরি করে বেড়াত। *(বুখারি, হাদিস : ২১৮)*

অন্যত্র রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তাদের একজন মানুষের গিবত করত। আর অপরজন পেশাবের (ছিটার) ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না। *(আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৭৩৫)*

 _কিয়ামতের দিন অন্যের পাপের বোঝা নিজের কাঁধে চাপে_ 
কিয়ামতের দিন গিবতের বদলা নেওয়া হবে। যার গিবত করা হয়েছে তার পাপের বোঝা গিবতকারীর কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা কি বলতে পার, 
নিঃস্ব কে? 
সাহাবিরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে যার টাকা-কড়ি ও আসবাবপত্র নেই, সেই তো নিঃস্ব।’ তখন তিনি বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে সেই প্রকৃত নিঃস্ব, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সিয়াম ও জাকাতের আমল নিয়ে উপস্থিত হবে; অথচ সে এই অবস্থায় আসবে যে, একে গালি দিয়েছে, একে অপবাদ দিয়েছে, এর সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, একে হত্যা করেছে ও একে মেরেছে। এরপর একে তার নেক আমল থেকে দেওয়া হবে, ওকে নেক আমল থেকে দেওয়া হবে। এরপর তার কাছে (পাওনাদারের) প্রাপ্য তার নেক আমল থেকে পূরণ করা না গেলে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। *(মুসলিম, হাদিস : ৬৪৭৩)*

 _জান্নাতে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত_ 

গিবতকারী মুসলিম যদি গিবত থেকে তাওবা না করে মারা যায়, তবে সে প্রথম সুযোগে জান্নাতে যেতে পারবে না;
 বরং তাকে গিবতের শাস্তি পাওয়ার জন্য প্রথমে জাহান্নামে প্রবেশ করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করবে, মহান আল্লাহ তাকে জাহান্নামের সেতুর ওপর আটক করবেন, যতক্ষণ না তার কৃতকর্মের ক্ষতিপূরণ হয়। *(আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৮৩)*

 _এই মহাপাপ থেকে আমরা সকলেই বেঁচে থাকার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে গীবত থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন।আমিন_ ।


ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png