LIVE
Loading latest headlines...

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ওসীয়্যতের নির্দেশ

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৫১


মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৫১

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ.

قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُوصِيَ إِذَا أَوْصَى فِي صِحَّتِهِ أَوْ مَرَضِهِ بِوَصِيَّةٍ فِيهَا عَتَاقَةُ رَقِيْقٍ مِنْ رَقِيقِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا بَدَا لَهُ وَيَصْنَعُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ حَتَّى يَمُوْتَ.

وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَطْرَحَ تِلْكَ الْوَصِيَّةَ وَيُبْدِلَهَا فَعَلَ إِلَّا أَنْ يُدَبِّرَ مَمْلُوكًا فَإِنْ دَبَّرَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى تَغْيِيرِ مَا دَبَّرَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ قَالَ مَالِك فَلَوْ كَانَ الْمُوصِي لَا يَقْدِرُ عَلَى تَغْيِيرِ وَصِيَّتِهِ وَلَا مَا ذُكِرَ فِيهَا مِنْ الْعَتَاقَةِ كَانَ كُلُّ مُوصٍ قَدْ حَبَسَ مَالَهُ الَّذِي أَوْصَى فِيهِ مِنْ الْعَتَاقَةِ وَغَيْرِهَا وَقَدْ يُوصِي الرَّجُلُ فِي صِحَّتِهِ وَعِنْدَ سَفَرِهِ قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ غَيْرَ التَّدْبِيْرِ.

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ:

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমানের নিকট কিছু সম্পদ থাকলে যার সম্বন্ধে ওসীয়্যত করা তার কর্তব্য, তবে সেই ক্ষেত্রে ওসীয়্যতের বিষয় না লিখে তার জন্য দুই রাত্রিও অতিবাহিত করা উচিত নায় (কেননা মৃত্যু আসার আশংকা রয়েছে)। (বুখারী ২৭৩৮, মুসলিম ১৬২৭)
মালিক (র) বলেন ইহা আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিষয় যে, যদি কোন মুসলমান সুস্থ অথবা অসুস্থ অবস্থায় কোন ওসীয়্যত করে যায় যেমন গোলাম আযাদ করা কিংবা অন্যান্য বিষয়, তবে সে মারা যাওয়ার পূর্বে তার মধ্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে এবং ওসীয়্যতকে স্থগিতও করতে পারবে। অন্য কোন ওসীয়্যতও করতে পারবে। কিন্তু কোন গোলামকে যদি মুদাব্বার করে থাকে তবে তাতে আর কোন পরিবর্তন করতে পারবে না, কেননা রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমানের এমন কিছু থাকলে যা ওসীয়্যত করা কর্তব্য, তবে ওসীয়্যত করা ব্যতীত দুই রাত অতিবাহিত করা তার উচিত নয়।
মালিক (র) বলেন যদি ওসীয়্যতকারীর নিজ ওসীয়্যতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা না থাকত তবে তার ইখতিয়ার হতে বের হয়ে আটক থাকত। যেমন গোলাম আযাদের কথা অথচ মানুষ কোন সময় ভ্রমণে যাওয়ার সময় ওসীয়্যত করে আবার সুস্থ থাকাকালীন ওসীয়্যত করে।
মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট প্রত্যেক ওসীয়্যতই বদলানো যায় কিন্তু গোলামকে মুদাব্বার করা হলে তা পরিবর্তনের ইখতিয়ার নাই।

মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৫১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


মানুষের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দিবে

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 1
বার দেখা হয়েছে
মানুষের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দিবে


মানুষের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দিবে
আল্লাহ তাআলার বাণী-
يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (24)
যেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে।– সূরা নূর ২৪

وَقَالُوا لِجُلُودِهِمْ لِمَ شَهِدْتُمْ عَلَيْنَا قَالُوا أَنْطَقَنَا اللَّهُ الَّذِي أَنْطَقَ كُلَّ شَيْءٍ وَهُوَ خَلَقَكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ (21)
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করবে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন? তারা উত্তরে বলবে, আল্লাহ- যিনি আমাদেরকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন প্রথমবার এবং তারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। – সূরা হামিম সাজদা ২১

الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ (65)
আজ আমি তাদের মুখে মোহর করে দিবে, তাদের হাত কথা বলবে আমার সাথে আর তাদের পা সাক্ষ্য দিবে তাদের কৃতকর্মের।– সূরা ইয়াসীন ৬৫

আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট ছিলাম। এ সময় তিনি হেসে বললেন, তোমরা কি জান, আমি কেন হাসছি? আমরা বললাম, এ সম্পর্কে আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ  বান্দা তার প্রতিপালকের সাথে যে কথা বলবে, এ জন্য হাসছি।

তখন বান্দা বলবে, হে আমার প্রতিপালক! তুমি কি আশ্রয় দাওনি আমাকে যুলম হতে? রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বলবেন, হাঁ আমি কারো প্রতি যূলূম করি না। অতঃপর বান্দা বলবে, আমি আমার ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্য ব্যতীত অন্য কারো সাক্ষী হওয়াকে জায়িয মনে করি না । তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, আজ তুমি নিজেই তোমার সাক্ষী হওয়ার জন্য যথেষ্ট এবং সম্মানিত লিপিকার বৃন্দও।
 অতঃপর বান্দার মূখের উপর মোহর লাগিয়ে দেয়া হবে এবং তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে হুকুম করা হবে যে, তোমরা বল। তারা তার আমল সম্পর্কে বলবে। এরপর বান্দাকে কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে। তখন বান্দা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে লক্ষ্য করে বলবে, অভিশাপ তোমাদের প্রতি, তোমরা দূর হয়ে যাও। আমি তো তোমাদের জন্যই ঝগড়া করছিলাম।- রিওয়ায়াত ২৬৬


ওসীয়্যত প্রসঙ্গে

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে


حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَصَابَ عُمَرُ أَرْضًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالاً قَطُّ أَنْفَسَ عِنْدِي مِنْهُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي بِهِ قَالَ ‏ "‏ إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَتَصَدَّقَ بِهَا عُمَرُ أَنَّهُ لاَ يُبَاعُ أَصْلُهَا وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ - وَزَادَ عَنْ بِشْرٍ - وَالضَّيْفِ - ثُمَّ اتَّفَقُوا - لاَ جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا بِالْمَعْرُوفِ وَيُطْعِمَ صَدِيقًا غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ فِيهِ ‏.‏ زَادَ عَنْ بِشْرٍ قَالَ وَقَالَ مُحَمَّدٌ غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالاً ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) খায়বারে একখন্ড জমি পান। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, আমি খায়বারে একখন্ড জমি পেয়েছি যা অপেক্ষা উত্তম সম্পদ ইতিপূর্বে আমি পাইনি। আপনি আমাকে এর কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে আসল জমি রেখে দিয়ে এর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ (ফসল) সদাক্বাহ করে দাও। তখন থেকে ‘উমার (রাঃ) সিদ্ধান্ত নেন যে, আসল জমি বিক্রয় করা যাবে না, হেবা করা যাবে না এবং তাতে কোনরূপ উত্তরাধিকার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি তা দান করে দিলেন ফকীর, আত্নীয়স্বজন, দাস মুক্তকরণে, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য। বর্ণনাকারী মুসাদ্দাদ (রহঃ) বিশর সূত্রে মেহমানের কথাও উল্লেখ করেন। পরে তারা একমত হয়ে বর্ণনা করেনঃ যিনি এ সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী হবেন তিনি ন্যায়সঙ্গতভাবে তা থেকে ভোগ করতে পারবেন এবং বন্ধুদেরও আপ্যায়ন করতে পারবেন। কিন্তু নিজের জন্য সঞ্চয় করতে পারবেন না।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৮৭৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



আমলনামা লিখার জন্য ফেরেশতা নির্ধারিত

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে
আমলনামা লিখার জন্য ফেরেশতা নির্ধারিত


আমলনামা সবার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে

আল্লাহ তাআলার বাণী
وَكُلَّ إِنْسَانٍ أَلْزَمْنَاهُ طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنْشُورًا (13) اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا (14)
আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবালগ্ন করেছি। আর কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব এক কিতাব যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। (আর বলা হবে) পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট।– সূরা ইসরা ১৩-১৪

আমলনামা লিখার জন্য ফেরেশতা নির্ধারিত
وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ (10) كِرَامًا كَاتِبِينَ (11) يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ (12)
অবশ্যই তোমাদের উপর তত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা জানে তোমরা যা কর।– সূরা ইনফিতার-১০-১১

প্রত্যেকটি বিষয়ই লিখা হয়
عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ (17) مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ (18)
ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।– সূরা ক্বাফ:১৭-১৮
আমলনামায় ছোট বড় সব কৃতকর্ম লিখা থাকবে
مَالِ هَذَا الْكِتَابِ لَا يُغَادِرُ صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً إِلَّا أَحْصَاهَا
(তারা বলবে, হায়!) এ কেমন কিতাব (আমলনামা)। এ যে ছোট কড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি- সবই এতে রয়েছে।– সূরা আল কাহফ ৪৯

আমলনামায় ডান হাতে আসলে হিসাব সহজ হবেআর না হয় কঠিন হবে
) فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ (7) فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا (8) وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا (9) وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ (10) فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا (11)
আর যাকে তার আমলনামা তার সোজা হাতে দেওয়া হবে তার হিসাব-নিকাশ সহজেই নেয়া হবে। আর সে তার স্বজনদের নিকট প্রফুল্লচিত্তে ফিরে যাবে। আর যাকে তার আমলনামা পিছন দিক হতে দেয়া হবে, সে (নিজেই) তার নিজের ধ্বংস চাইবে এবং জ্বলন্ত অগ্নিতে প্রবেশ করবে।– সূরা ইনশিকাক ৭-১২


আখিরাতের প্রতি ইমান

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে
আখিরাতের প্রতি ইমান


আখিরাতের প্রতি ইমান
শায়খ হালিমী (রহ) বলেন- আখিরাতের দিনের প্রতি ইমান আনার অর্থ হলো এই কথার সত্যায়ন করা যে, এই দুনিয়ার দিনের শেষ ও চূড়ান্ত সীমা রয়েছে। অর্থাৎ এই দুনিয়া একদিন টুকরো টুকরো হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আখিরাতের উপর ইমান আনার ব্যাপারে শরহে সদর বা প্রশান্ত চিত্ত হওয়ার জন্য যে বিষয়টি প্রযোজ্য, তা হলো আল্লাহর ভয় বিদ্যমান থাকা। আর এর আলামত হলো দুনিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা কম থাকা। দুনিয়ার কষ্ট ও মুসিবতে হতাশ না হওয়া এবং র্ধৈয ধরা। খাহিশাত বা আসক্তির চাহিদার ব্যাপারে র্ধৈয ধারণ করা। আর আল্লাহ তাআলার নিকট যে প্রতিদান ও সওয়াব রয়েছে তার প্রতি ইয়াকীন রাখা।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آَمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ইমানদার নয়।– সূরা বাকারা ৮

আমরা বর্ণনা করেছি হযরত উমর (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে। যখন তাকে ইমানের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেন,
أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ
তুমি ইমান আনবে আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসূলগেণের প্রতি, আখিরাত বা শেষ দিবসের প্রতি এবং তাকদীর বা ভাগ্যের ভাল মন্দের প্রতি।
 
নবী (সা) ইরশাদ করেন-
بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ
আমার প্রেরণ এবং কিয়ামত- এই দুটি আঙ্গুলের মত নিকটর্বতী।
এই হাদীসের অর্থ হলো- আমি শেষ নবী। আমার পর আর কোন নবী আসবে না। তবে কিয়ামত বা পরকাল আসবে। যা আমার পরে খুবই নিকটর্বতী।


ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png