LIVE
Loading latest headlines...

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

জীবনে সুস্থ থাকতে চাইলে বিয়ে করুন সঠিক বয়সে

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯ 0
বার দেখা হয়েছে
বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য স'ম্পর্ক স্থাপিত হয়।
বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌ'ন স'ম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।
বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই না। বিয়ে দুটি মানুষকে একত্রে বেধে ফেলে।
বিয়ের ফলে দুটি মানুষের মনের আদান প্রদান হয়। যার ফলে দুটি মানুষ তাদের চিন্তা চেতনাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করতে পারে। যার ফলে একাকিত্ব মনোভাব, হতাশা, ক্লান্তি সবই দূর করা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে বিয়ে করা জরুরি।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এমন তথ্য। বিয়ে এবং সুস্থ্ এই দুই নিয়ে কি বলা হয়েছে তা জেনে নিন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে নিয়মিত শারীরিক স'ম্পর্ক স্থাপিত হয়। যার ফলে দম্পতির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ: স্বাভাবিক যৌ'নজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে। বিশেষ করে ‘অর্গাজমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে। কারণ প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
র'ক্তচাপ কমায়: নিয়মিত শারীরিক স'ম্পর্ক স্থাপিত হলে র'ক্তচাপ কমে বলে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। গবেষণা বলছে, শারীরিক স'ম্পর্ক র'ক্তচাপ কমায়।
ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক স'ম্পর্কে প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষকরা জানান, শারীরিক মিলনে দু’ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক. হৃদকম্পনে গতি আনে, দুই. একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশীকে সক্রিয় করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁ'কি: শারীরিক স'ম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি। হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরনের’ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকরা জানান, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শারীরিক স'ম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃ'ত্যুর আশ'ঙ্কা কম।
ব্যথা কমায়: ব্যথা কমাতে ‘অর্গাজম’ বেশি কার্যকর। অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক জানান, অর্গাজম ব্যথা বন্ধ করতে পারে। কারণ এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ঘুম: শারীরিক স'ম্পর্কের পর দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। কারণ অর্গাজমের সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহকে শিথিল করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে।
মানসিক চাপ: সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে। গবেষকরা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অ'ত্যন্ত জরুরি।


মুমিনের গুণাবলী

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯ 0
বার দেখা হয়েছে
মুমিনের গুণাবলী
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏
وَعَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।

 (মুসলিম ১/১৭ হাঃ ৪৫, আহমাদ ১২৮০১, ১৩৮৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১২) 
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৪
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ  সেই আল্লাহর শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষন না আমি তার নিকট তার পিতা ও সন্তানাদির চেয়ে অধিক ভালবাসার পাত্র হই।

(আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩)
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


ইসলামের রুকন বা খুঁটি

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯ 0
বার দেখা হয়েছে
ইসলামের রুকন বা খুঁটি

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّه
 صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ‏

ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। 
১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। 
২. সলাত কায়িম করা। 
৩. যাকাত আদায় করা। 
৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং 
৫. রমযানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।

(৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)


ফুটনোটঃ
[১] কোন কোন ফকীহদের নিকট ঈমান বাড়েও না কমেও না। বরং সমান থাকে। তাদের নিকট একজন নবীর ঈমান ও ইবলিসের ঈমান এক সমান। তাদের এই ‘আকীদাহ কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। এটা মুরজি’আহ সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ‘আকীদাহর অন্তর্ভুক্ত। 

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


অভিশপ্ত যারা কোরআনের ভাষায়

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯ 0
বার দেখা হয়েছে
অভিশপ্ত যারা কোরআনের ভাষায়
ভালো-মন্দ দুটোই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। তবে ভালো কাজ করতে তিনি বান্দাদের আদেশ দিয়েছেন। মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। কিছু মন্দ কাজ খুবই নিকৃষ্টমানের। এসব কাজ যারা করে আল্লাহ তাদের প্রতি লানত করেছেন; তাদের ধ্বংস কামনা করেছেন। কোরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তাআলা সেসব মানুষের বিবরণ দিয়েছেন।
কোরআনের ভাষায় অভিশপ্ত যারা
কোরআনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অভিশপ্তদের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো :
ক. কাফির
খ. আল্লাহর কিতাব বিকৃতকারী
গ. মিথ্যুক
ঘ. সত্য ও ইসলামের প্রমাণ গোপনকারী
ঙ. মুনাফিক
চ. অত্যাচারী
ছ. আল্লাহর ব্যাপারে অপবাদদাতা
জ. আল্লাহর অঙ্গীকার ভঙ্গকারী
ঝ. সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং অপবাদ দেওয়া
ঞ. আল্লাহ ও রাসুলের অসন্তুষ্টিজনক কথা বলা
ট. আল্লাহর ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করা।
এই তালিকা দেখে নির্দ্বিধায় বলা যায়, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অস্বীকার করে তাদের জন্যই আল্লাহর অভিশাপ নির্দিষ্ট নয়। বরং মিথ্যুক, প্রতারক, মুনাফিক ও আল্লাহর ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণকারীদের জন্যও তা প্রযোজ্য। তাদের পরিণামও হবে ভয়াবহ।
অভিশপ্তদের পরিণাম
আল্লাহ যাদের অভিশাপ দিয়েছেন তাদের নিকৃষ্ট পরিণতির কথা কোরআনে তিনি উল্লেখ করেছেন। পার্থিব জীবনে আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন না। পরকালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি এবং নিকৃষ্ট পরিণাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরাই তারা, যাদের আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে অভিশাপ দেন কখনো তুমি তার কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫২)
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জাহান্নাম। তা কত নিকৃষ্ট আবাসস্থল!’ (সুরা : ফাতহ, আয়াত: ৬)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। তোমার কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৩৪)
আরো ইরশাদ হচ্ছে, ‘তাদের জন্য রয়েছে অভিশাপ। তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস।’ (সুরা : গাফির, আয়াত : ৫২)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ তাদের দুনিয়া-আখিরাতে অভিশপ্ত করেন। তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত: ৫৭)
অন্য আয়াতে বলেন, ‘তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জ্বলন্ত আগুন।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৬৪)
অভিশপ্ত হওয়ার কারণ
কুফর : আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অস্বীকার করার নাম কুফর। কাফিরদের জন্য রয়েছে আল্লাহর অভিশাপ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা কুফরি করে এবং কাফিররূপে মারা যায় তাদের প্রতি আল্লাহ, সব ফেরেশতা ও মানুষের অভিশাপ।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৬১)
মিথ্যাবাদিতা : মিথ্যা কথা বলা খুবই জঘন্য কাজ। মিথ্যুকদের আল্লাহর অভিশাপ অনিবার্য। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কাছে জ্ঞান আসার পর যে ব্যক্তি এ বিষয়ে তোমার সঙ্গে তর্ক করে তাকে বলো, এসো, আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের, আমাদের নিজেদের এবং তোমাদের নিজেদের। তারপর আমরা বিনীত আবেদন করি এবং মিথ্যুকদের দিই আল্লাহর অভিশাপ।’ (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত : ৬১)
হত্যা ও খুনাখুনি : হত্যা ও খুনাখুনি আল্লাহ মোটেও পছন্দ করেন না। তাই তিনি হন্তারককে অভিশপ্ত বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘ইচ্ছা করে কেউ কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন। তাকে অভিশাপ দেবেন। তার জন্য প্রস্তুত রাখবেন মহাশাস্তি।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯৩)
বিশ্বাসঘাতকতা : বিশ্বাসঘাতকতা এক অমার্জনীয় অপরাধ—আল্লাহর কাছেও, মানুষের কাছেও। তাই বিশ্বাস ভঙ্গকারী অভিশপ্ত। আল্লাহ বলেন, ‘অঙ্গীকার ভাঙার জন্য আমি তাদের অভিশাপ দিয়েছি। তাদের হৃদয় কঠোর করেছি। তারা শব্দগুলোর আসল অর্থ বিকৃত করে। তাদের যা উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তার একাংশ তারা ভুলে গেছে। তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক ছাড়া সবাইকে তুমি সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখবে। তাদের ক্ষমা করো এবং উপেক্ষা করো। আল্লাহ সৎ লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১৩)
মুনাফিকি : দুমুখো কপট মানুষ খুবই ইতর প্রকৃতির লোক। তাই মুখে ঈমান রেখে অন্তরে কুফরি গোপন করা মুনাফিকদের আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুনাফিক নারী-পুরুষ ও কাফিরদের আল্লাহ জাহান্নামের আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৬৮)
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা : মানুষকে আল্লাহ সামাজিক জীব হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় এ বন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সুসম্পর্ক বজায় রাখার তাগিদ ইসলামে অপরিসীম। তাই এ সম্পর্ক ছিন্ন করা অভিশপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকার করার পর যারা তা ভাঙে, যে সম্পর্ক আল্লাহ অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদের জন্য রয়েছে মন্দ নিবাস।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৫)
সাধ্বী নারীদের অপবাদ দেওয়া : নারীর অধিকার রক্ষায় ইসলাম কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। তাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলাকে ইসলামে অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কোনো নারীর প্রতি কেউ অভিযোগের আঙুল তুললে তার জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অপবাদদাতা ব্যক্তিকে আল্লাহ অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সাধ্বী, সরলমনা ও ঈমানদার নারীদের প্রতি যারা অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত। তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২৩)
রাসুল (সা.)-কে কষ্ট দেওয়া : শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয়তম বান্দা। তাঁর অনন্য-অতুলনীয় আখলাক-শিষ্টাচারের নজির সৃষ্টির ইতিহাসে আর নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা আল্লাহর অভিশাপ-অসন্তুষ্টির অন্যতম কারণ। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও রাসুলকে যারা পীড়া দেয়, আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ দেন। তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৭)
আল্লাহর অভিশাপ থেকে বাঁচতে হলে, জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই এসব মন্দ কাজ পরিত্যাগ করতে হবে। নিজেকে রাঙাতে হবে ইসলামের আলোয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অভিশাপ থেকে রক্ষা করুন। দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দিন। আমিন।


ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png