বার দেখা হয়েছে
কুরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর যিকির, সদাচারণ, মিসকিনের প্রতি ভালবাসার ফযীলত
হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী رضي الله عنه বর্ণনা করেন,
আমি হুযুর পুরনূর ﷺ কে আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাকে কিছু উপদেশ দিন।”
হুযুর ﷺ ইরশাদ করলেন: “আমি তােমাকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটি তােমার দ্বীনের (ধার্মিকতার) মূল।”
আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু উপদেশ দিন।”
ইরশাদ করলেন: “কোরআন মজীদের তিলাওয়াত এবং অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাে, কেননা তা তােমার জন্য আসমান এবং জমিনে নূর হবে।”
আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাকে আরাে কিছু উপদেশ দিন।”
ইরশাদ করলেন: “জিহাদ করাকে নিজের উপর অপরিহার্য করে নাও, কেননা তা আমার উম্মতদের জন্য রাহবানিয়াত স্বরূপ।”
আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।”
ইরশাদ করলেন: “কম হাসবে, কেননা অধিক হাসি অন্তরকে মৃত এবং চেহারাকে অনুজ্জ্বল করে দেয়।”
আমি আরয করলাম: “আরাে উপদেশ দিন।”
ইরশাদ করলেন: “ভাল কথা বলা ব্যতিত নিরব থাকবে, কেননা নিরবতা শয়তানের বিরুদ্ধে ঢাল স্বরূপ আর দ্বীনি কাজে তােমার জন্য সহায়ক।”
আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।”
ইরশাদ করলেন: “(দুনিয়াবী বিষয়ে) তােমার চেয়ে নগন্যকে দেখাে, উত্তমদের দিকে দেখাে না, কেননা এই আমলটি তা থেকে উত্তম যে, তুমি আল্লাহ পাকের নেয়ামতকে তুচ্ছ মনে করবে।”
আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।
ইরশাদ করলেন: “অভাবীদেরকে ভালবাসাে আর তাদের সংস্পর্শ অবলম্বন করাে।”
আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু ইরশাদ করুন।
ইরশাদ করলেন: “সত্য কথা বলাে, যদিও তা তিক্ত হয়।”
আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।
ইরশাদ করলেন: “আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখাে, যদিওবা তারা তােমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।”
আমি আর করলাম; ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।
ইরশাদ করলেন: “আল্লাহ পাকের ব্যাপারে কারাে নিন্দাকে ভয় করাে না।”
আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।”
ইরশাদ করলেন: “মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করাে, যা নিজের জন্য পছন্দ করাে।”
অতঃপর হুযুর ﷺ তাঁর হাত মােবারক আমার বুকে রাখলেন এবং ইরশাদ করলেন: “হে আবু যর! তদবীরের চাইতে কোন বুদ্ধিমত্তা নেই, গুনাহ্ থেকে বাঁচার চাইতে কোন পরহেযগারী নেই আর উত্তম চরিত্রের চাইতে কোন আভিজাত্য নেই।
তথ্যসূত্রঃ
আত তারগীব ওয়াত তারহীব, (কিতাবুল কাযা, হাদীস নং- ২৪, ৩/১৩১।)
●"অধিকহারে ইবাদত ও রিয়াযত করা এবং লোকজন থেকে দূরে থাকাকে রাহবানিয়াত বলে"