LIVE
Loading latest headlines...

রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২২

মিথ্যা বলা মহাপাপ ? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো!

রবিবার, অক্টোবর ২৩, ২০২২ 1
বার দেখা হয়েছে
মিথ্যা বলা মহাপাপ ?


প্রশ্নঃ

মাননীয় মুফতী সাহেব

আমরা জানি যে মিথ্যা বলা মহাপাপ৷ কিন্তু জনৈক আলেম বলেছেনঃ তিন স্থানে মিথ্যা বলা পাপ নয় বরং উত্তম৷ তার কথা সঠিক কিনা? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো!


📖 উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم


হা, উক্ত আলেমের কথা সঠিক৷ যেমন হাদীস শরীফে বর্নিত হয়েছে-

عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ لاَ يَحِلُّ الْكَذِبُ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ يُحَدِّثُ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا وَالْكَذِبُ فِي الْحَرْبِ وَالْكَذِبُ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ ‏”‏


আসমা বিনতু ইয়াযীদ রাযিঃ থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত মিথ্যা বলা বৈধ নয়।

(এক) স্ত্রীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা৷

(দুই) যুদ্ধের সময় মিথ্যা বলা৷

(তিন) লোকদের পরস্পরের মাঝে সংশোধন করার জন্য মিথ্যা বলা।

সনদ সহীহ৷ (সুনানে তিরমিযী ১৯৩৯ হাদীস৷ সুনানে আবু দাউদ ৪৯২১ হাদীস৷)


এক) স্ত্রীর সঙ্গে মিথ্যা বলার অর্থ হলো- তাকে গুরুত্ব দেয়া, আপন করে নেয়া, অন্তরে যতটুকু ভালোবাসা আছে তার চেয়ে বেশি প্রকাশ করা, এর মাধ্যমে স্থায়ী সম্পর্কের প্রচেষ্টা করা এবং তার চরিত্র সংশোধনের চেষ্টা করা।


দুই) যুদ্ধক্ষেত্রে মিথ্যা বলার অর্থ হলো- নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করা, সঙ্গীদের মনোবল বাড়াতে উৎসাহব্যঞ্জক কথা বলা এবং এর মাধ্যমে শত্রুকে ধাঁধায় ফেলে দেয়া। এ কারণেই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যুদ্ধ ধোঁকার নাম।’


তিন) পরস্পরের মধ্যে সংশোধনের জন্য মিথ্যা বলার অর্থ হলো- দু ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসার জন্য মিথ্যা বলার বিষয়টি একজনের পক্ষ থেকে আরেকজনের কাছে কল্যাণ ও সৌন্দর্য হিসেবেই পৌঁছে৷ তাই মধ্যস্থতাকারী শুধু মীমাংসার জন্য প্রয়োজনে মিথ্যা বলতে পারে৷ (শারহুস সুন্নাহ ১৩/১১৯ পৃষ্ঠা৷)


উক্ত তিন জায়গা ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় মিথ্যা বলা জায়েয নাই বরং হারাম৷ (ফতোয়ায়ে শামী ৬/৪২৭ পৃষ্ঠা৷ ফতোয়ায়ে কাসেমীয়া ২/৬৩১ পৃষ্ঠা৷ খুলাসাতুল ফতোয়া ৪/৩৪৬ পৃষ্ঠা৷)


উল্লেখ্য, উপরোক্ত তিন জায়গাতেও এমন কোন মিথ্যা বলা জায়েয হবে না, যা ফেতনার আশংকা সৃষ্টি করে। যেমন, কোন কাজ করেছে কিনা জিজ্ঞেস করার পর কাজটি করা সত্ত্বেও ‘করে নি’ বলে দেয়া, যা স্পষ্টই মিথ্যা ও ধোঁকার অন্তর্ভুক্ত, এমন করা যাবে না। শুধুমাত্র আমরা যে ক্যাটাগরিগুলো বর্ণনা করলাম, সেভাবেই যদি কেউ অসত্য কথা বলে তাহলে জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ।


والله اعلم بالصواب


উত্তর লিখনেঃ

মুফতী তাহমীদ শামী

আত তাহমীদ ইসলামীক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ৷

তারিখ- ১৮/৯/২০২২ ঈসায়ী৷



ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png