LIVE
Loading latest headlines...

শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

হযরত মুয়াবিয়া (রা.) : ইসলামের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

হযরত মুয়াবিয়া (রা.) : ইসলামের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
ইহুদী-খ্রিস্টানদের হৃদয়ে কাঁপন ধরানো ব্যক্তিত্বের নাম হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু। খোলাফায়ে রাশেদীনের পর ইসলামের সবচে’ বড় খাদেম ছিলেন হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু। তিনি ছিলেন একাধারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শ্যালক (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী ‘উম্মে হাবীবা’ রাদিআল্লাহু আনহা এর ভাই) এবং সমন্ধি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী ‘উম্মে সালামা’ রাদিআল্লাহু আনহু এর বোন ‘কারীবাতুস সুগরা’ এর স্বামী)। সেই সাথে হযরত হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু এর শাশুড়ির ভাই।
কিন্তু ইহুদী-খ্রিস্টান ষড়যন্ত্রের ক্রীড়ানক শিয়া ও তাদের দোসরদের হাজ্জাজী কলমে আজ ক্ষত-বিক্ষত ইসলামের এ মহান সেবক। বিধর্মীদের দর্পচূর্ণ করে তাদের সাম্রাজ্য টুকরো টুকরো করে দেয়ায় ক্ষিপ্ত-বিক্ষু্ব্ধ হয়ে অপপ্রচারের স্টিমরোলার চালানো হয় এ মহান বীরের বিরুদ্ধে। যাতে মেকি রঙ লাগায় মুসলিম নামধারী কাফের ‘শিয়ারা’। সেই মিথ্যাচারকে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা করে বেড়ায় কথিত ইসলামী আন্দোলনের জনৈক নেতা!
বর্তমান যুগের সাধারণ মুসলিমরা জানেই না কে ছিলেন আমীরে মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু! কী ছিল তার কৃতিত্ব? কেন এত মিথ্যাচার করা হল তাঁর বিরুদ্ধে?
হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর কিছু বৈশিষ্ট তুলে ধরে জাতির সামনে এ মহান ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে আবার ভেবে দেখার খোরাক জোগানোই এ লেখার উদ্দেশ্য।
নিম্নে তাঁর কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলোঃ
১) হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবি উমায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর জন্য এ দোয়া করেছিলেন اللهم اجعله هاديا مهديا واهد به.. অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তাকে পথপ্রাপ্ত ও পথপ্রদর্শক করো এবং তার মাধ্যমে মানুষকে হেদায়েত করো’। (তিরমিজি, হা. ৩৮৪২)
২) ইমাম আহমদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তার প্রসিদ্ধ ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ‘এরবাদ ইবনে সারিয়া রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি اللهم علم معاوية الكتاب والحساب وقه العذاب.. অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! মুয়াবিয়াকে কিতাব ও হিসাবের জ্ঞান দান করো এবং (জাহান্নামের) আযাব থেকে তাকে রক্ষা করো। (উসদুল গাবাহ খঃ ৪ পৃঃ ৩৮৬, মুসনাদে আহমদ : ৩৫/১৪)
৩) একবার মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অজুতে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বললেন, ‘হে মুয়াবিয়া! যদি তোমাকে আমির নিযুক্ত করা হয়, তাহলে আল্লাহকে ভয় করবে এবং ইনসাফ করবে। ‘ মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ‘সেদিন থেকেই আমার বিশ্বাস জন্মেছিল, এ কঠিন দায়িত্ব আমার ওপর এসে পড়বে’। (মুসনাদে আহমাদ হা. ১৬৯৩৩, আল ইছাবাহ পৃঃ ৪১৩)
৪) হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, একদিন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুয়াবিয়াকে সদুপদেশ দিন, কেননা সে আল্লাহর কিতাবের আমানতদার ও উত্তম আমানতদার’। (আল মুজামুল আওসাত, হা. ৩৯০২)
৫) তিনি ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত জামাত ‘প্রথম নৌবাহিনী’ প্রস্তুতকারক। উম্মে হারাম রাদিআল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, اول جيش من امتي يغزون البحر قد اوجبوا.. অর্থাৎ ‘আমার উম্মতের মধ্যে যে সৈন্য দলটি সর্বপ্রথম নৌ অভিযানে অংশ নেবে তারা নিজেদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে।’ (সহিহ বোখারি, হা. ২৯২৪, ফতহুল বারী : ৬/১০২)।
এটা মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর জন্য এক সুমহান মর্যাদার স্বীকৃতি। কেননা, মুসলমানদের সর্বপ্রথম নৌ অভিযানটি মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর নেতৃত্বে (২৭ হিজরিতে) হয়েছিল। (ফতহুল বারি : ৬/১২০)
৬) তিনি মক্কা বিজয়ের সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে ইসলাম প্রকাশ করলেও মূলত হিজরতের আগেই তিনি গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এ জন্যই তিনি বদর, ওহুদ, খন্দকসহ কোনো যুদ্ধেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসেন নি। (উসদুল গাবাহ ৫/২১০)
৭) তিনি ৬৪১ থেকে ৬৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ২০ বছর গভর্ণর এবং ৬৬১ থেকে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ২০ বছর সুবিশাল ইসলামী সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। (আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ৪২-৪৩; হাশিয়াতুল ইসাবাহ : ৩/৩৯৯)
এত দীর্ঘ সময় মুসলিম সাম্রাজ্যের সফল রাষ্ট্রনায়ক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জমানা থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানরা প্রত্যক্ষ করেনি। এত দীর্ঘ সময়ের খিলাফতের যুগে একজন ব্যক্তিও হযরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে প্রতিবাদ করেনি।
৮) হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে তার সম্পর্কে বলেন ما رأيت اخلق للملك من معاوية.. অর্থাৎ ‘শাসনক্ষমতার জন্য মুয়াবিয়ার চেয়ে উপযুক্ত কেউ আমার নজরে পড়ে নি। (আল বিদায়া খঃ ৮ পৃঃ ১৩৫)
৯) তিনি হযরত ওমর রাদিআল্লাহু আনহু প্রতিষ্ঠিত ‘ডাকবিভাগ’ এর পুনর্বিন্যাস, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করেন। সরকারি দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষণের জন্য পৃথক বিভাগ চালু করেন। (তারিখে ত্বাবারি, মু’জামুল বুলদান ৪/৩২৩, সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩/১৫৭)
১০) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর যে ওহী অবতীর্ণ হতো তা মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু লিখে রাখতেন। (আন নুজুমুয যাহিরাহ খঃ ৪ পৃষ্ঠাঃ ১৪৫, মাজমাউয যাওয়াইদ খঃ ৮ পৃঃ ২১, আল বিদায়া খঃ ৯ পৃঃ ৩৫৭) তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পত্রলেখকও ছিলেন।
১১) তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ১৬৩টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। (আল উমাবিয়ুন : ৬৮)। সাহাবিদের মধ্যে হযরত ইবনে উমর,ইবনে আব্বাস,ইবনে যুবাইর,আবুদ দারদা,জারীরুল বিজলী,নুমান বিন বশীর রাদিআল্লাহু আনহুম আজমাইন প্রমুখ এবং তাবেঈদের মধ্যে মুহাম্মদ বিন সীরীন, সাইদ ইবনুল মুসায়েব, হুমায়েদ বিন আব্দুর রহমান রহিমাহুমুল্লাহু আনহুম প্রমুখ তাঁর কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। (আল ইছাবাহ খঃ ৩ পৃঃ ৪১৩)
১২) ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সঙ্গে হুনাইন ও তায়েফের যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে গনিমতের মাল থেকে ১০০ উট ও ৪০ উকিয়া (আউন্স) রুপা দিয়েছিলেন। (মাহমুদ শাকের, আত-তারিখুল ইসলামী : ৪/৬৯)
১৩) তিনি দুনিয়াবিমুখ জাহেদ সাহাবিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় সনদে আবু হামালাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, ‘আমি দামেস্ক শহরে মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহুকে দেখেছি তালিযুক্ত কাপড় পরে মিম্বরে দাঁড়িয়ে জনসম্মুখে ভাষণ দিচ্ছেন।’ (ইমাম আহমদ, আজ-জুহুদ : ১৭২)
১৪) বিখ্যাত সাহাবি আবু দারদা রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘আমি কাউকে তোমাদের আমির মুয়াবিয়ার তুলনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামাজের অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ দেখিনি।’ (মুসনাদুশ শ্যামেয়িন : ২৮৩)
১৫) বর্ণিত আছে, ‘একদা প্রখ্যাত তাবেয়ি আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি মুয়াবিয়া সম্পর্কে কী বলেন? আপনার কাছে কে উত্তম? মুয়াবিয়া নাকি ওমর ইবনে আবদুল আজিজ? তিনি উত্তর দিলেন
تراب في انف معاوية افضل من عمر بن عبد العزيز..
অর্থাৎ ‘মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর নাকের ধূলিকণাও ওমর ইবনে আবদুল আজিজের চেয়ে উত্তম। (আল-বিদায়া খঃ ৮ পৃঃ ১৩৯; তারিখে দামেস্ক : ৫৯/২১১)
১৬) চরম সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে তিনি খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনি সব ফিতনা দমন করে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনেন। পরিস্থিতি এমন হয়, মহিলারা রাতে তাদের ঘরের দরজা খুলে ঘুমাতেও ভয় করত না। কোনো ব্যক্তি পথে পড়ে থাকা কারো জিনিস ছুঁয়ে দেখার সাহস পেত না। তাঁর শাসনামলে সারা পৃথিবীতে কোনো মুসলমান ভিক্ষুক ছিল না। রাজ্যের অমুসলিম নাগরিকদেরও শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি মুসলিম বাহিনীকে সুশৃঙ্খল রূপ দেন ও ইসলামের দাওয়াত বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। (তারিখে ত্বাবারি, মু’জামুল বুলদান ৪/৩২৩, সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩/১৫৭)
১৭) তিনি ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন প্রিয় সাহাবী। যাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মোহাব্বত করে বলেন- এই উম্মতের সবচে’ ধৈর্যশীল ব্যক্তিত্বের নাম মুয়াবিয়া (রাদিআল্লাহু আনহু)
১৮) তিনিই সর্বপ্রথম কাবাঘরের খেদমতের জন্য স্থায়ী সেবক নিযুক্ত করেন এবং বাইতুল্লাহর জন্য মূল্যবান রেশমী কাপড়ের গিলাফ তৈরির ব্যবস্থা করেন।
১৯) তাঁর শাসনামলে ইহুদী ও খ্রিস্টান সাম্রাজ্য তাঁর নাম শুনেই থরথর কাঁপতো।
২০) রোম সম্রাট হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু এর
বিরুদ্ধে যুদ্ধে হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর সহযোগী হওয়ার স্পর্ধা দেখালে তিনি দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষনা দেন- রুমের কুকুর! তুমি যদি হযরত আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাও, তাহলে যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম আলীর সহযোগী-বন্ধু হয়ে তোমার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরবে তার নাম আমীরে মুয়াবিয়া।
২১) তাঁর ব্যাপারে হযরত হাসান রাদিআল্লাহু আনহু স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দেন, মুয়াবিয়া আমার জন্য দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম।
এরকম অসংখ্য ফাযায়েল ও শ্রেষ্ঠত্ব বলা যাবে হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু আনহু এর ব্যাপারে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর তেইশ বছরের নবী জীবনে আসমানী ওহীর পূর্ণ তত্ত্বাবধানে মানবসভ্যতার জন্য সর্বোত্তম আদর্শরূপে যে বরকতময় জামাত তৈরি করেছিলেন তাঁরাই হলেন ‘সাহাবা’‌। তাঁদের হৃদয় ও আত্মার পবিত্রতার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাঁর পাক কালামে তাঁদের প্রতি সাধারণ সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়ে বলেন رضي الله عنهم ورضوا عنه অর্থাৎ ‘আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট’। সেই সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের সনদ দিয়েছেন এভাবে اصحابي كالنجوم فبايهم اقتديتم اهتديهم অর্থাৎ ‘আমার সাহাবিগণ তারকাতুল্য। সুতরাং তোমরা তাদের যে কারো অনুসরণ করবে, হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে’।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অজানা ছিল না, তাঁর পরে উম্মাহর একদল ভ্রষ্টলোক সাহাবা কেরামের সমালোচনায় মেতে ওঠবে। পরিণামে নিজেদের ও অনুগামীদের ঈমান ও আখেরাত বরবাদ করে বসবে। তাই এ সম্পর্কে কঠোর ভাষায় সতর্ক করে তিনি বলেন
الله الله في اصحابي؛ لا تتخذوهم غرضا من بعدي؛ فمن أحبهم فبحبي أحبهم ومن ابغضهم فبغضبي ابغضهم..
অর্থাৎ ‘আমার সাহাবাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো! আল্লাহকে ভয় করো! আমার মৃত্যুর পর তাদেরকে সমালোচনার পাত্র বানিয়ো না। যারা তাদের ভালোবাসবে, তারা আমার প্রতি ভালোবাসার কারণেই তাদের ভালোবাসবে। আর যারা তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে তারা আমার প্রতি বিদ্বেষের কারণেই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের ঈমান আমলের হেফাজত করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png