যাকাত ফরয হওয়া প্রসংগে ইসলামী শরীয়াহ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। এই শর্তগুলির মাধ্যমে যাকাতদাতা যাতে ইচ্ছাপূর্বক যাকাত দেন তার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ভাবেই যাকাতের মহান উদ্দেশ্য অর্জিত হবে।
শর্তগুলি নিম্নরূপ:
শর্তগুলি নিম্নরূপ:
ক) পূর্ণ মালিকানা থাকা
খ) প্রকৃত বা অনুমিত বৃদ্ধি
গ) নিসাব পূর্ণ হওয়া (নিম্নতম যে পরিমাণ সম্পদের উপর যাকাত ধার্য হয়)
ঘ) মৌলিক চাহিদা পূরণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকা
ঙ) সম্পদের মালিকানা পূর্ণ একবছর হওয়া
চ) একই বৎসর একই সম্পদের দুইবার যাকাত প্রদান না করা
সম্পদেরপূর্ণমালিকানা
সম্পদের পূর্ণ মালিকানা বলতে বুঝায় যে সম্পদ উহার মালিকের আওতাধীন আছে এবং মালিক ইচ্ছা করলে উহা বিক্রয় বা হস্তান্তর বা খরচ করতে পারেন, ওটাতে কারও কোন অধিকার নাই। যাকাতের অর্থ হচ্ছে সম্পদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ দিয়ে যাকাতগ্রহীতাকে মালিক করে দেওয়া, তদ্রূপ যাকাতদাতারও সম্পদের উপর সঠিক (খাঁটি) মালিকানা থাকতে হবে। অতএব, যিমার বা যে সম্পদ মালিকের আওতাধীন নাই, (অর্থাৎ পূর্ণ আওতাধীনে নাই অথবা অন্যের কাছে আছে যা পেতে সক্ষম নয়) এমন সম্পদের যাকাত হয় না। কয়েকজন সাহাবী বর্ণনা করেছেন, “ যিমার সম্পদের উপর যাকাত প্রযোজ্য নয়, এমনকি যে মোহরাণার অর্থ পরিশোধ করা হয়নি বা ঋণ হিসাবে দেয়া আছে কিন্তু ঋণগ্রহীতা উহা পরিশোধ করতে অক্ষম এমন সম্পদের যাকাত হয় না”। কিন্তু যদি এমন সম্পদ পূর্ণ আওতাধীনে আসে তবে উহার মালিককে কেবলমাত্র এক বছরের জন্য উহার যাকাত দিতে হবে, তা যত বছরই উহা তার আওতা বহির্ভুত থাকুক না কেন।
সম্পদের পূর্ণ মালিকানা বলতে বুঝায় যে সম্পদ উহার মালিকের আওতাধীন আছে এবং মালিক ইচ্ছা করলে উহা বিক্রয় বা হস্তান্তর বা খরচ করতে পারেন, ওটাতে কারও কোন অধিকার নাই। যাকাতের অর্থ হচ্ছে সম্পদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ দিয়ে যাকাতগ্রহীতাকে মালিক করে দেওয়া, তদ্রূপ যাকাতদাতারও সম্পদের উপর সঠিক (খাঁটি) মালিকানা থাকতে হবে। অতএব, যিমার বা যে সম্পদ মালিকের আওতাধীন নাই, (অর্থাৎ পূর্ণ আওতাধীনে নাই অথবা অন্যের কাছে আছে যা পেতে সক্ষম নয়) এমন সম্পদের যাকাত হয় না। কয়েকজন সাহাবী বর্ণনা করেছেন, “ যিমার সম্পদের উপর যাকাত প্রযোজ্য নয়, এমনকি যে মোহরাণার অর্থ পরিশোধ করা হয়নি বা ঋণ হিসাবে দেয়া আছে কিন্তু ঋণগ্রহীতা উহা পরিশোধ করতে অক্ষম এমন সম্পদের যাকাত হয় না”। কিন্তু যদি এমন সম্পদ পূর্ণ আওতাধীনে আসে তবে উহার মালিককে কেবলমাত্র এক বছরের জন্য উহার যাকাত দিতে হবে, তা যত বছরই উহা তার আওতা বহির্ভুত থাকুক না কেন।
প্রকৃত বা অনুমিত বৃদ্ধি
সম্পদ বর্ধিত হওয়ার অর্থ বংশবৃদ্ধি হওয়া, অথবা বর্ধন – ক্ষমতা থাকা (ক্রয় – বিক্রয়ের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষমতা) অর্থাৎ ব্যবসায়ে খাটিয়ে উহার লাভ দ্বারা পরিমাণে বৃদ্ধি করা। সম্পত্তির বৃদ্ধি বলতে মূল্য বৃদ্ধিকে বুঝায় যেমন-স্বর্ণ, রৌপ্য এবং নগদঅর্থ ব্যবসায়ে বিনিয়োগ হলে মূল্যমান বৃদ্ধি হতে পারে, এরূপ প্রকৃত বা অনুমিত (ধরে নেয়া যায়) বৃদ্ধি হইলে ঐ সকল সম্পদের যাকাত দিতে হবে। যে সকল সম্পদের প্রকৃত বা অনুমিত বৃদ্ধি নাই ঐ সকল সম্পদের যাকাত হয় না।
সম্পদ বর্ধিত হওয়ার অর্থ বংশবৃদ্ধি হওয়া, অথবা বর্ধন – ক্ষমতা থাকা (ক্রয় – বিক্রয়ের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষমতা) অর্থাৎ ব্যবসায়ে খাটিয়ে উহার লাভ দ্বারা পরিমাণে বৃদ্ধি করা। সম্পত্তির বৃদ্ধি বলতে মূল্য বৃদ্ধিকে বুঝায় যেমন-স্বর্ণ, রৌপ্য এবং নগদঅর্থ ব্যবসায়ে বিনিয়োগ হলে মূল্যমান বৃদ্ধি হতে পারে, এরূপ প্রকৃত বা অনুমিত (ধরে নেয়া যায়) বৃদ্ধি হইলে ঐ সকল সম্পদের যাকাত দিতে হবে। যে সকল সম্পদের প্রকৃত বা অনুমিত বৃদ্ধি নাই ঐ সকল সম্পদের যাকাত হয় না।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকহওয়া
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নিম্নতম ধনসম্পদের পরিমাণকে নিসাব বলে। নগদ অর্থ, স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য এবং গবাদি পশুর উপর নিসাব ধার্য হবে । হাদিসে এসেছে,“স্বর্ণের পরিমাণ বিশ দিনারের কম হলে উহার যাকাত দিতে হবে না। কেবলমাত্র উক্ত সঞ্চিত দিনার পরিমাণ স্বর্ণ থাকলে উহার উপর অর্ধ দিনার যাকাত দিতে হবে। অনুরূপভাবে রূপার পরিমাণ দুইশত দিরহামের কম হলে উহার উপর যাকাত ধার্য হবে না। রূপার পরিমাণ দুইশত দিরহাম হলে উহার উপর পাঁচ দিরহাম যাকাত দিতে হবে”। এই হাদিস অনুযায়ী স্বর্ণের যাকাতযোগ্য নিসাব হচ্ছে ২০ দিনার (৮৫গ্রাম) স্বর্ণ। রৌপ্যের নিসাব হচ্ছে দুইশত দিরহাম (৫৯৫ গ্রাম) রৌপ্য । ব্যবসায়িক সম্পদের নিসাব হবে ৮৫ গ্রাম স্বর্ণের সমমূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য। অন্যান্য কোন সম্পদ নিসাব পরিমাণ না হলে উহার কোন যাকাত দিতে হবে না । নিসাব পরিমাণ বা উহার বেশি সম্পদ হলেই যাকাত দিতে হবে । হানাফী ও মালিকী মতাদর্শীদের মতে বছরের প্রথম ও শেষে নিসাব হিসাব করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে সম্পদের বৃদ্ধি বা কম হওয়া ধর্তব্য নয় । বৎসরের মধ্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদের সাথে অতিরিক্ত সম্পদ যোগ হলে একত্রে উহার যাকাত দিতে হবে।
যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নিম্নতম ধনসম্পদের পরিমাণকে নিসাব বলে। নগদ অর্থ, স্বর্ণ-রৌপ্য, ব্যবসায়িক পণ্য এবং গবাদি পশুর উপর নিসাব ধার্য হবে । হাদিসে এসেছে,“স্বর্ণের পরিমাণ বিশ দিনারের কম হলে উহার যাকাত দিতে হবে না। কেবলমাত্র উক্ত সঞ্চিত দিনার পরিমাণ স্বর্ণ থাকলে উহার উপর অর্ধ দিনার যাকাত দিতে হবে। অনুরূপভাবে রূপার পরিমাণ দুইশত দিরহামের কম হলে উহার উপর যাকাত ধার্য হবে না। রূপার পরিমাণ দুইশত দিরহাম হলে উহার উপর পাঁচ দিরহাম যাকাত দিতে হবে”। এই হাদিস অনুযায়ী স্বর্ণের যাকাতযোগ্য নিসাব হচ্ছে ২০ দিনার (৮৫গ্রাম) স্বর্ণ। রৌপ্যের নিসাব হচ্ছে দুইশত দিরহাম (৫৯৫ গ্রাম) রৌপ্য । ব্যবসায়িক সম্পদের নিসাব হবে ৮৫ গ্রাম স্বর্ণের সমমূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য। অন্যান্য কোন সম্পদ নিসাব পরিমাণ না হলে উহার কোন যাকাত দিতে হবে না । নিসাব পরিমাণ বা উহার বেশি সম্পদ হলেই যাকাত দিতে হবে । হানাফী ও মালিকী মতাদর্শীদের মতে বছরের প্রথম ও শেষে নিসাব হিসাব করতে হয়। এ সময়ের মধ্যে সম্পদের বৃদ্ধি বা কম হওয়া ধর্তব্য নয় । বৎসরের মধ্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদের সাথে অতিরিক্ত সম্পদ যোগ হলে একত্রে উহার যাকাত দিতে হবে।
খুলতাহ (যৌথ–মালিকানা)
সম্পদের মালিকানা একের অধিক ব্যক্তির হলে উহাই খুলতাহ্ বা যৌথমালিকানা। সম্পদ যদি ভেড়া ধরা হয়, তবে উহার খাদ্য একই চারণভূমি, একই পানীয় জলের ব্যবস্থা, একই খামার এবং একই ব্যবস্থাপনার অধীণে হয়, তবে উক্ত ভেড়া যৌথ মালিকানাধীন ধরতে হবে। খুলতাহ্ যদিও গো-মহিষাদির যাকাতের বেলায় প্রযোজ্য, কিছু চিন্তাবিদ গণ মনে করেন অন্যান্য সম্পদ যেমন শস্য, ফল এবং নগদ অর্থ যৌথমালিকানায় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে থাকতে পারে। যৌথ সম্পদের মোটমুল্য হিসাব করে উহাকে একক মালিকানার বিচারে এনে যাকাত দিতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ ধরা যেতে পারে যে, একপাল ভেড়া যার সংখ্যা ৪৫ এবং যার মালিক ৩ জন, প্রত্যেকে ১৫ টি ভেড়ার মালিক । এ ক্ষেত্রে যাকাত হবে ১টি ভেড়া । ৩ জনের প্রত্যেকের ১৫টি ভেড়ার পৃথক পৃথক ধরা হলে উহাদের মালিকের নিসাব সংখ্যা ৪০টি ভেড়া হয়না । নিসাব সংখ্যা না হলে যাকাতও হবে না। কিন্ত যৌথ মালিকানায় ৪৫ ভেড়া একত্রে ধরলে উহার যাকাত হবে ১টা
ভেড়া ।
মৌলিক চাহিদাপূরণেরপর অতিরিক্ তসম্পদ থাকা =
সম্পদের মালিকানা একের অধিক ব্যক্তির হলে উহাই খুলতাহ্ বা যৌথমালিকানা। সম্পদ যদি ভেড়া ধরা হয়, তবে উহার খাদ্য একই চারণভূমি, একই পানীয় জলের ব্যবস্থা, একই খামার এবং একই ব্যবস্থাপনার অধীণে হয়, তবে উক্ত ভেড়া যৌথ মালিকানাধীন ধরতে হবে। খুলতাহ্ যদিও গো-মহিষাদির যাকাতের বেলায় প্রযোজ্য, কিছু চিন্তাবিদ গণ মনে করেন অন্যান্য সম্পদ যেমন শস্য, ফল এবং নগদ অর্থ যৌথমালিকানায় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে থাকতে পারে। যৌথ সম্পদের মোটমুল্য হিসাব করে উহাকে একক মালিকানার বিচারে এনে যাকাত দিতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ ধরা যেতে পারে যে, একপাল ভেড়া যার সংখ্যা ৪৫ এবং যার মালিক ৩ জন, প্রত্যেকে ১৫ টি ভেড়ার মালিক । এ ক্ষেত্রে যাকাত হবে ১টি ভেড়া । ৩ জনের প্রত্যেকের ১৫টি ভেড়ার পৃথক পৃথক ধরা হলে উহাদের মালিকের নিসাব সংখ্যা ৪০টি ভেড়া হয়না । নিসাব সংখ্যা না হলে যাকাতও হবে না। কিন্ত যৌথ মালিকানায় ৪৫ ভেড়া একত্রে ধরলে উহার যাকাত হবে ১টা
ভেড়া ।
মৌলিক চাহিদাপূরণেরপর অতিরিক্ তসম্পদ থাকা =
মৌলিক চাহিদা যেমন বসতবাড়ী, কাজের যন্ত্রপাতি, কারখানার মেশিনারী, যাতায়াতের বাহন, আসবাবপত্র ইত্যাদির যাকাত হয় না। একইভাবে ঋণ পরিশোধের জন্য জমাকৃত টাকার উপরও যাকাত হবে না, কারণ ঋণগ্রহিতা ঋণের টাকা পরিশোধ না করলে জেল-জরিমানা ও নির্যাতন ভোগ করতে হতে পারে। মোটকথা জীবনের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য রক্ষিত টাকার যাকাত হয় না।
একবছর অতিক্রান্ত হওয়া=
নিসাবে উন্নীত হওয়ার পর এক চন্দ্র বছর পূর্ণ হলে সম্পদের উপর যাকাত ধার্য হবে ২.৫% হারে। আর যদি হিসাবপত্র সৌর বছরের ভিত্তিতে হয় তাহলে যাকাত ধার্য হবে ২.৫৭৭% হারে। কারণ সৌর বছর চন্দ্র বছরের চাইতে দীর্ঘ। যা হোক এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া শস্য ও ফলের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। পবিত্র কুরআনে এই উভয়বিধ সম্পদের যাকাত সম্বন্ধে নির্দেশ এসেছে। “ফসল কাটার দিনে তার হক দান কর,” (সূরা আনআম, আয়াত-১৪১)। একই ভাবে আলেমগণ মনে করেন যে, খনিজ সম্পদ এবং গুপ্তধনের উপর এক বছর পূর্ণ হওয়ার প্রয়োজন নাই। উহা হস্তগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাকাত দিতে হবে।
নিসাবে উন্নীত হওয়ার পর এক চন্দ্র বছর পূর্ণ হলে সম্পদের উপর যাকাত ধার্য হবে ২.৫% হারে। আর যদি হিসাবপত্র সৌর বছরের ভিত্তিতে হয় তাহলে যাকাত ধার্য হবে ২.৫৭৭% হারে। কারণ সৌর বছর চন্দ্র বছরের চাইতে দীর্ঘ। যা হোক এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া শস্য ও ফলের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। পবিত্র কুরআনে এই উভয়বিধ সম্পদের যাকাত সম্বন্ধে নির্দেশ এসেছে। “ফসল কাটার দিনে তার হক দান কর,” (সূরা আনআম, আয়াত-১৪১)। একই ভাবে আলেমগণ মনে করেন যে, খনিজ সম্পদ এবং গুপ্তধনের উপর এক বছর পূর্ণ হওয়ার প্রয়োজন নাই। উহা হস্তগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাকাত দিতে হবে।
একইবছর ২বার যাকাত প্রদান=
কোন নিসাব পরিমাণ সম্পদের উপর যাকাত একবারই দিতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক, শস্য ও গবাদি পশুর যাকাত পরিশোধ করা হয়েছে। এখন ঐ শস্য বা গবাদি পশু বিক্রি করে নগদ অর্থ প্রাপ্ত হলে ঐ প্রাপ্ত অর্থের উপর একই বছরে যাকাত দিতে হবে না। দিলে যাকাতের পুনরাবৃত্তি হবে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “একই সম্পদের দুইবার যাকাত হবে না’’।
সরকারী সম্পত্তি, ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ও দাতব্য সংস্থার সম্পদের যাকাত ( সরকারী সম্পত্তির কোন যাকাত হয় না , কেননা ধনী গরীব নির্বিশেষে সমাজের সবাই উক্ত সম্পত্তির মালিক। একইভাবে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ও দাতব্য সংস্থার সম্পদের উপর যাকাত ধার্য হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এইগুলি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পদ বলে বিবেচিত না হবে।
কোন নিসাব পরিমাণ সম্পদের উপর যাকাত একবারই দিতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক, শস্য ও গবাদি পশুর যাকাত পরিশোধ করা হয়েছে। এখন ঐ শস্য বা গবাদি পশু বিক্রি করে নগদ অর্থ প্রাপ্ত হলে ঐ প্রাপ্ত অর্থের উপর একই বছরে যাকাত দিতে হবে না। দিলে যাকাতের পুনরাবৃত্তি হবে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “একই সম্পদের দুইবার যাকাত হবে না’’।
সরকারী সম্পত্তি, ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ও দাতব্য সংস্থার সম্পদের যাকাত ( সরকারী সম্পত্তির কোন যাকাত হয় না , কেননা ধনী গরীব নির্বিশেষে সমাজের সবাই উক্ত সম্পত্তির মালিক। একইভাবে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি ও দাতব্য সংস্থার সম্পদের উপর যাকাত ধার্য হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এইগুলি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পদ বলে বিবেচিত না হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন