![]() |
লজ্জার কারণে একজন আলেম/দাঈকে কখনও উচিত নয় মানুষের গোপন পাপ সম্পর্কে চুপ থাকা...
বরং লজ্জাকে উপেক্ষা করেই তাদের এসব বিষয়ে কথা বলতে হবে...
যেমন আল্লাহ ও রাসূল (সা:) যিনা-ব্যভিচার,সমকামিতা ইত্যাদি সম্পর্কে সতর্ক সাবধান করেছেন...
এবং বর্তমানেও আলেম সমাজ এসব ধ্বংসাত্মক পাপগুলো সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক-সাবধান করে যাচ্ছেন...
কেননা এগুলো এমন মারাত্মক কবীরা গুনাহ যা মানুষের জীবনে ধ্বংস ও আযাব বয়ে আনে
সুতরাং এসব পাপ থেকে নিজেদের বেঁচে থাকা ও অন্যদের বেঁচে থাকার জন্য সতর্ক-সাবধান করা জরুরী
গোপন পাপের মধ্যে অন্যতম একটি পাপ হচ্ছে: "হস্তমৈথুন"
অর্থাৎ নিজ হস্ত/হাতের সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া (নাউযুবিল্লাহ)
শয়তানের ফাঁদে পড়ে অনেকেই এই কবীরা গুনাহে লিপ্ত... কে কে লিপ্ত তা আপনি জানেন ও আপনার চেয়ে আপনার রব ভালো জানেন...
পাশাপাশি আপনার দু'পাশের দুই ফেরেশতাও অনবরত আপনার এই পাপগুলো লিপিবদ্ধ করছে...
কিন্তু আপনি কী জানেন আপনার এই পাপ এর ফলাফল দুনিয়া ও আখিরাতে কতটা ভয়াবহ??
🌟 দুনিয়াবী ক্ষতি/ভয়াবহতা হচ্ছে:
হস্তমৈথুন এর ফলে বীর্য পাতলা হয়ে যায় ও পুরুষের দেহে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়...
ফলে প্রতিনিয়ত সে দুর্বল হতে থাকে ও তার যৌন সক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে...
যার ফলে সে এক পর্যায়ে স্ত্রী মিলন ও সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে পড়ে...
তাছাড়া একবার এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে এটি মাদকের চেয়েও ভয়াবহ নেশায় রূপ নেয়...
যার ফলে মাথাব্যথা...লজ্জাস্থানে ব্যথা...প্রশ্রাবে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি হয়...
এতো গেল শুধু দুনিয়াবী কুফল/ক্ষতি...এবার পরকালীন ক্ষতি সম্পর্কে শুনুন....
🌟 কুরআনে আল্লাহ বলেন:
"যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাজত করে...নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া (ক্রীতদাসী) ছাড়া...
এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও ক্রীতদাসীর) ক্ষেত্রে সে নিন্দিত নয়... যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী
[সূরা মুমিনুন: আয়াত: 5-7]
সূরা মুমিনুন এর 5-7 নম্বর আয়াতের উপর ভিত্তি করে উম্মতের সকল আলেম একমত যে "হস্তমৈথুন" করা হারাম ও কবীরা গুনাহ ❌
👉🏻 এবার প্রশ্ন : হস্তমৈথুন হারাম কেনো??
আল্লাহ মানব জাতির জন্য কল্যাণকর এরকম কোনো কিছুই হারাম করেননি...অকল্যাণ কর সকল জিনিস হারাম করেছেন...
সুতরাং আজকের আধুনিক বিজ্ঞানও বলছে হস্তমৈথুন মানবদেহের জন্য অনেকে অনেক ক্ষতিকর...
আর এটাই প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট যে; হস্তমৈথুন করা কবীরা গুনাহ ও হারাম... আর কবীরা গুনাহের পরিণাম জাহান্নাম
এজন্য দুনিয়াবী ও পরকালীন ক্ষতি থেকে বাঁচতে এ মারাত্মক ও জঘন্য গুনাহটি পরিত্যাগ করুন...
✅ হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়:
1...সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা...আল্লাহ যে আপনার সব কার্যকলাপ দেখছেন তা মাথায় রাখা
2...পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করা
"নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে" (সূরা আনকাবুত - আয়াত:45)
সুতরাং আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, যে ব্যক্তি 5 ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে জামাআতের সাথে আদায় করে...
সে কখনও হস্তমৈথুন/পর্ণোগ্রাফি/যিনা-ব্যভিচার/সমকাম ইত্যাদিতে লিপ্ত হতে পারে না...100% প্রমাণিত✅
3... মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করা
4... মানুষের মধ্যে বেশি বেশি অবস্থান করা... একাকী সময় না কাটানো
5... দুই পাশে দুই ফেরেশতা সব দেখছেন ও লিখছেন তা সবসময় মাথায় রাখা
6... গুনাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ ও ইস্তিগফার করা...
7... মোবাইল/ল্যাপটপ/কম্পিউটারের স্ক্রিনে "আল্লাহ আমাকে সবসময় দেখছেন" এই Wallpaper টি লিখে Save করে রাখা
8... বিয়ে করার সামর্থ্য হলে বিয়ে করে ফেলা অথবা রোযা রাখা...এটাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়
👉🏻 রাসূল (সা:) বলেন: "হে যুবক সমাজ! তোমরা বিয়ে করে ফেল...কেননা তা দৃষ্টিতে নত রাখতে ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে সাহায্য করে...
আর যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না সে যেনো (নফল) রোজা পালন করে...কারণ রোযা তার কামভাব দমন করবে
[সহীহ বুখারী:5065]
সুবহানাল্লাহ 🧡 ইসলাম কত সুন্দরভাবে সকল সমস্যার সমাধান দেয়...💖
সুতরাং হস্তমৈথুন সহ সকল গোপন কবীরা গুনাহ থেকে বাঁচতে এসব পদ্ধতি অবলম্বন করুন...
এবার গোপন পাপের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি হাদিস শুনুন:
"রাসূল (সা:) বলেন:"
আমার উম্মতের কিছু লোক কিয়ামতের দিন পর্বতের ⛰ সমতুল্য নেক আমল নিয়ে উপস্থিত হবে
কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দিবেন...
সাহাবীরা বললেন: তারা কারা??
তিনি (রাসূল সা:) বললেন: তারা হচ্ছে এমন লোক যে একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত বিষয়ে লিপ্ত হয়...(নাউযুবিল্লাহ)
[সুনান ইবনে মাজাহ - 4245]
সুতরাং যারা উপরে উপরে আল্লাহর ওলী/বন্ধু কিন্তু ভিতরে ভিতরে শয়তানের ওলী/বন্ধু... তারা এক্ষুনি তওবা করে সকল প্রকার গোপন পাপ থেকে ফিরে আসুন...
যদি তওবার মতো তওবা করতে পারেন তাহলে এতদিন যে পাপগুলো করেছেন সেগুলোকে আল্লাহ সওয়াবে রূপান্তর করে দিবেন ইনশাআল্লাহ 💖💙💚💛🧡
কুরআনে আল্লাহ বলেন:
যারা তওবা করে,বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে...আল্লাহ তাদের গুনাহকে সওয়াব ধারা পরিবর্তন করে দিবেন...আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু ❤
(সূরা ফুরকান - আয়াত : 70)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন