সন্তানের উপর পিতা মাতার হক ১৪টি
এই পৃথিবীতে পিতা-মাতা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। যাদের মাধ্যেমে আমরা এই পৃথিবীর আলো দেখতে পেরেছি। তাই আল্লাহর বিধান মতে তাদের প্রতি সদাচারণ করা অত্যাবশ্যক। হাদিসে বর্ণিত আছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। তবে এই কথাটি আমরা অনেকেই ভুলে যায়। যার ফলে বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। তাই সন্তানের উপর বাবা মায়ের সর্বমোট ১৪টি হকের কথা মুসলমান সন্তান হিসেবে এখনই জেনে নিন।
পিতামাতার অধিকারের ব্যাপারে আল কুরআন
সৃষ্টিজগতে মানুষের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতামাতা। পিতামাতাই মানুষের সর্বাধিক আপনজন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন,
“আর আমি মানুষকে তার পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করার আদেশ দান করেছি, তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং অতিকষ্টে তাকে প্রসব করেছেন।” (সূরা আহকাফ, ১৪)
আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ইরশাদ করছেন, আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। [লুকমানঃ১৪]
সৃষ্টিজগতে মানুষের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদর্শনকারী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতামাতা। পিতামাতাই মানুষের সর্বাধিক আপনজন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন,
“আর আমি মানুষকে তার পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করার আদেশ দান করেছি, তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং অতিকষ্টে তাকে প্রসব করেছেন।” (সূরা আহকাফ, ১৪)
আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ইরশাদ করছেন, আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। [লুকমানঃ১৪]
এ ১৪টি হক কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. জীবদদ্বসায় ৭টি হক
২. মৃত্যুর পর ৭টি হক
জীবদদ্বসায় ৭টি হক যেমনঃ
১. সম্মানঃ পিতা মাতার সম্মান ও ইজ্জত করা ,আজমত অর্থাৎ পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
২. মুহাব্বতঃ জীবিত অবস্থায় তাদের সাথে মুহাব্বত ও ভালোবাসায় মুগ্ধ করা /মনে-প্রাণে ভালোবাসা।।
৩. ইতাআতঃ তাদের আদেশ পালন করা/ সর্বদা তাদেরকে মেনে চলা।
৪. খিদমতঃ জীবিত অবস্থায় তাদের সেবা যত্নের কোন ত্রুটি না করে সর্বদায় সেবাই নিয়োজিত থাকা ।
৫. প্রয়োজনঃ তাদের প্রয়োজন মেটানো চেষ্টা করা /
৬. সাক্ষাত করাঃ যখনই সুযোগ হয় তাদের সাথে বার বার দেখা করা/নিয়মিত তাদের সাথে সাক্ষাত ও দেখাশোনা করা।.
৭. আরামের চিন্তাঃ যখনই সুযোগ হয় তাদের আরামের সুযোগ করে দেয়া/তাদেরকে সবসময় সুখে শান্তিতে রাখার চেষ্টা করা।
মৃত্যুর পর ৭টি হক যেমনঃ
১) তাদের মাগফেরাত এর জন্য দোয়া করা।
২) সওয়ার পৌঁছানো।
৩) তাদের সাথী সঙ্গী ও আত্মীয় স্বজনদের সম্মান করা।
৪) সাথী-সঙ্গী ও আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য করা।
৫) ঋণ পরিশোধ ও আমানত আদায় করা।
৬) শরীয়ত সম্মত ওসিয়ত পূর্ণ করা।
৭) সাধ্যমত তাদের কবর জিয়ারত করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন