LIVE
Loading latest headlines...

শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১

কুরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর যিকির, সদাচারণ, মিসকিনের প্রতি ভালবাসার ফযীলত





কুরআন তিলাওয়াত, আল্লাহর যিকির, সদাচারণ, মিসকিনের প্রতি ভালবাসার ফযীলত

হযরত সায়্যিদুনা আবু যর গিফারী رضي الله عنه বর্ণনা করেন, 
আমি হুযুর পুরনূর ﷺ কে আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাকে কিছু উপদেশ দিন।” 
হুযুর ﷺ ইরশাদ করলেন: “আমি তােমাকে আল্লাহকে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটি তােমার দ্বীনের (ধার্মিকতার) মূল।” 

আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু উপদেশ দিন।” 
ইরশাদ করলেন: “কোরআন মজীদের তিলাওয়াত এবং অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাে, কেননা তা তােমার জন্য আসমান এবং জমিনে নূর হবে।” 

আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাকে আরাে কিছু উপদেশ দিন।”
ইরশাদ করলেন: “জিহাদ করাকে নিজের উপর অপরিহার্য করে নাও, কেননা তা আমার উম্মতদের জন্য রাহবানিয়াত স্বরূপ।”

আমি আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন।” 
ইরশাদ করলেন: “কম হাসবে, কেননা অধিক হাসি অন্তরকে মৃত এবং চেহারাকে অনুজ্জ্বল করে দেয়।” 

আমি আরয করলাম: “আরাে উপদেশ দিন।” 
ইরশাদ করলেন: “ভাল কথা বলা ব্যতিত নিরব থাকবে, কেননা নিরবতা শয়তানের বিরুদ্ধে ঢাল স্বরূপ আর দ্বীনি কাজে তােমার জন্য সহায়ক।”

আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।” 
ইরশাদ করলেন: “(দুনিয়াবী বিষয়ে) তােমার চেয়ে নগন্যকে দেখাে, উত্তমদের দিকে দেখাে না, কেননা এই আমলটি তা থেকে উত্তম যে, তুমি আল্লাহ পাকের নেয়ামতকে তুচ্ছ মনে করবে।” 

আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন। 
ইরশাদ করলেন: “অভাবীদেরকে ভালবাসাে আর তাদের সংস্পর্শ অবলম্বন করাে।” 

আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু ইরশাদ করুন। 
ইরশাদ করলেন: “সত্য কথা বলাে, যদিও তা তিক্ত হয়।” 

আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন। 
ইরশাদ করলেন: “আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখাে, যদিওবা তারা তােমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।” 

আমি আর করলাম; ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আরাে কিছু নসিহত করুন। 
ইরশাদ করলেন: “আল্লাহ পাকের ব্যাপারে কারাে নিন্দাকে ভয় করাে না।” 

আমি আরয করলাম: “আরাে কিছু নসিহত করুন।” 
ইরশাদ করলেন: “মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ করাে, যা নিজের জন্য পছন্দ করাে।” 

অতঃপর হুযুর ﷺ তাঁর হাত মােবারক আমার বুকে রাখলেন এবং ইরশাদ করলেন: “হে আবু যর! তদবীরের চাইতে কোন বুদ্ধিমত্তা নেই, গুনাহ্ থেকে বাঁচার চাইতে কোন পরহেযগারী নেই আর উত্তম চরিত্রের চাইতে কোন আভিজাত্য নেই।


তথ্যসূত্রঃ
আত তারগীব ওয়াত তারহীব, (কিতাবুল কাযা, হাদীস নং- ২৪, ৩/১৩১।)

●"অধিকহারে ইবাদত ও রিয়াযত করা এবং লোকজন থেকে দূরে থাকাকে রাহবানিয়াত বলে"

কোন মন্তব্য নেই:

ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png