“হে মুসলিম রমনীগণ! কোনো প্রতিবেশিনী যেন অপর প্রতিবেশিনীকে তুচ্ছজ্ঞান না করে, এমনকি বকরীর একটি ক্ষুর উপঢৌকন পাঠালেও নয়।” *(বুখারী, হাদিস নং- ২৪২৭)*
“হে আবূ যর! যখন তুমি তরকারি পাকাও, তখন তাতে একটু বেশি পানি দিয়ে ঝোল বাড়াও এবং তোমার প্রতিবেশিকে পৌঁছাও।” *(মুসলিম, হাদিস নং- ৬৮৫৫)*
আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে বললেন: আমার তো দুইজন প্রতিবেশী আছে, আমি তাদের কার কাছে উপঢৌকন পৌঁছাবো?
তখন তিনি বললেন:
“উভয়ের মধ্যে যার ঘর তোমার বেশি কাছে হয়, তার কাছে পাঠাও।” *(বুখারী, হাদিস নং- ২১৪০)*
এক মহিলা খুব নামাজ পড়ে। রোজা রাখে। দান-সদকাও করে। কিন্তু কথা বলার সময় প্রতিবেশীকে খোঁচা মেরে কথা বলে। কষ্ট দেয়। এমন মহিলার ব্যাপারে আপনার কী অভিমত ইয়া রাসূলাল্লাহ?
- সে জাহান্নামি!
আরেক মহিলা কোনো মতো ফরজ ইবাদতগুলো করে। অল্পই দান-সদকার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু সে কাউকে খোঁচা মেরে কথা বলে না। এ মহিলার ব্যাপারে আপনার কী অভিমত ইয়া রাসূলাল্লাহ?
- সে জান্নাতি! *[আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারী (১১৯); সহিহ ইবনে হিব্বান, (৫৭৬৪)*
অথচ আজকাল ঠেস দিয়ে কথা বলাটা একটা 'যোগ্যতা' জ্ঞান করা হয়। আমরা যতটা ভালো মুসলিম তার জীবন্ত সাক্ষী আমাদের স্বভাব-চরিত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন