LIVE
Loading latest headlines...

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভালো আচার-আচরণ পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তা আলা শিখিয়েছেন

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫ 0
বার দেখা হয়েছে


ভালো আচার-ব্যবহার প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে দেয়া ৭৫ টি ভালো আচার-আচরণ যা পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তা আলা শিখিয়েছেন:

১। কখনো মিথ্যা বলবে না - (২২:৩০)

২। কখনো কারো উপর গুপ্তচরবৃত্তি করবে না - (৪৯:১২)

৩। বিজয়ী উচ্ছ্বাস দেখাবে না বা অনুভব করবে না - (২৮:৭৬)

৪। কাউকে অপমান করবে না - (৪৯:১১)

৫। কিছু নষ্ট করবে না - (১৭:২৬)

৬। অভাবীকে আহার করাও - (২২:৩৬)

৭। গীবত করো না - (৪৯:১২)

৮। সর্বদা নিজ শপথ রক্ষা করো - (৫:৮৯)

৯। কখনই ঘুষ খাবে না - (২৭:৩৬)

১০। আপন চুক্তিকে সম্মান করো - (৯:৪)

১১। রাগ নিয়ন্ত্রণ করো - (৩:১৩৪)

১২।পরচর্চা করো না - (২৪:১৫)

১৩। অন্যদের সম্পর্কে ভাল চিন্তা করো - (২৪:১২)

১৪। অতিথিদের প্রতি সদয় হও - (৫১:২৪ - ২৭)

১৫। বিশ্বাসীদের কষ্ট দিও না - (৩৩:৫৮)

১৬। পিতামাতার সাথে কখনো অভদ্র/রূঢ় ব্যবহার করবে না - (১৭:২৩)

১৭। ঘৃণা বা খারাপ কথাবার্তা থেকে দূরে থাকো - (২৩:৩)

১৮। মানুষের সাথে ঠাট্টা কোরো না - (৪৯:১১)

১৯। নম্রভাবে চলো - (২৫:৬৩)

২০। মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দাও - (৪১:৩৪)

২১। যা তুমি করো না বা করতে পারো না তা বোলো না - (৬১:২)

২২। নিজের প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বাস রক্ষা করো - (২৩:৮)

২৩। অন্যের মিথ্যা দেবতাদের অপমান করো না - (৬:১০৮)

২৪। ব্যবসায় লোকদের সাথে প্রতারণা করো না - (৬:১৫২)

২৫। অধিকার ছাড়া জিনিস গ্রহণ কোরো না - (৩:১৬২)

২৬। অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করো না - (৫:১০১)

২৭। কৃপণতা বা বাড়াবাড়ি কোরো না - (২৫:৬৭)

২৮। অন্যকে খারাপ বা ডাকনামে ডেকো না - (৪৯:১১)

২৯। নিজেকে পবিত্র বলে দাবী করো না - (৫৩:৩২)

৩০। সুন্দরভাবে কথা বল, এমনকি অজ্ঞদের সাথেও - (২৫:৬৩)

৩১। অনুগ্রহের জন্য প্রতিদান (আর্থিক বা কিছু) চাইবে না - (৭৬:৯)

৩২। সমাবেশে অন্যদের জন্য জায়গা করে দিও - (৫৮:১১)

৩৩। শত্রু যদি শান্তি চায় তবে তা গ্রহণ করো - (৮:৬১)

৩৪। একটি ভাল পদ্ধতিতে একটি সম্ভাষন বা অভ্যর্থনার উত্তর দাও - (৪:৮৬)

৩৫। নিজ অনুগ্রহ অন্যকে স্মরণ করিয়ে দিও না - (২:২৬৪)

৩৬। যুদ্ধরত দলের মধ্যে শান্তি স্থাপন করো - (৪৯:৯)

৩৭। পরিমিত কথা বলো এবং আপন কণ্ঠস্বর নিচু করো - (৩১:১৯)

৩৮। ঘৃণার কারণে নিজেকে অন্যায় করতে দিও না - (৬:১০৮)

৩৯। অন্যের কাছ থেকে খুব বেশি অনুগ্রহ চাইবে না - (২:২৭৩)

৪০। অন্যের ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দিও - (২৪:২৭)

৪১। সৎ হও, এমনকি আত্মীয় বা নিজের বিরুদ্ধেও - (৪:১৩৫)

৪২। ভদ্রভাবে কথা বল, এমনকি কাফেরদের নেতাদের সাথেও - (২০:৪৪)

৪৩। অন্যের ছোট অবদানের সমালোচনা কোরো না - (৯:৭৯)

৪৪। অন্যদেরকে যেভাবে ডাকো নবী (সাঃ)কে সেভাবে ডেকো না - (২৪:৬৩)

৪৫। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করো - (৪:১২৮)

৪৬। নবী (সাঃ)কে কখনই তার ঘরের বাইরে থেকে ডাকবে না - (৪৯:৪)

৪৭। দুর্নীতি ও নিপীড়ন হত্যার চেয়েও জঘন্য পাপ - (২:২১৭)

৪৮। অন্যকে বুদ্ধিমত্তা এবং ভাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দাও - (১৬:১২৫)

৪৯। প্রমাণ ছাড়া অন্যদেরকে অনৈতিকতার অভিযোগ করবে না - (২৪:৪)

৫০। নবী (সাঃ) এর স্ত্রীদেরকে তোমাদের মায়ের মত মনে কোরো - (৩৩:৬)

৫১। নিজ কণ্ঠস্বর নবী (সাঃ) এর কণ্ঠের উপরে তুলবে না - (৪৯:২)

৫২। না জেনে কাউকে কাফের বলবে না - (৪:৯৪)

৫৩। কারো ঘরে প্রবেশ করার আগে অনুমতি নিও - (২৪:৫৯)

৫৪। খারাপের বদলা ভালোর দ্বারা দাও; শত্রু পরম বন্ধুতে পরিণত হবে - (৪১:৩৪)

৫৫। অসহায়দের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না - (৪:২৯)

৫৬। অহংকারী মানুষদের থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নিও না - (৩১:১৮)

৫৭। অন্যকে ক্ষমা করো, যেমন তুমি চাও যে আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুক - (২৪:২২)

৫৮। নবী (সাঃ) এর সমাবেশ থেকে বের হওয়ার সময় তার অনুমতি নিও - (২৪:৬২)

৫৯। পাপের জন্য গোপন বৈঠক কোরো না, বরং নিষ্ঠা/ভক্তির জন্য কোরো - (৫৮:৯)

৬০। নিজে ভালো কাজ করতে ভুলে গিয়ে অন্যকে তা করার আদেশ দিও না - (২:৪৪)

৬১। নিজ শিক্ষকের সাথে ধৈর্য ধরো এবং তার নির্দেশাবলী অনুসরণ করো - (১৮:৬৭ - ৬৯)

৬২। যারা তোমার দিকে আসে তাদের ভ্রুকুটি করো না, মুখ ফিরিয়ে নিও না, বা অবহেলা কোরো না - (৮০:১০)

৬৩। যদি কোন গরীবকে সাহায্য করতে না পারো, অন্তত সুন্দর করে কথা বলো - (১৭:২৮)

৬৪। নিজ অধীনস্থদের প্রতি নম্র হও এবং সমস্যায় তাদের সাথে পরামর্শ করো - (৩:১৫৯)

৬৫। তথ্যের উপর কাজ করার আগে একটি খাঁটি উৎস থেকে তথ্যটা যাচাই করো - (৪৯:৬)

৬৬। খাবারের পর অপ্রয়োজনীয়ভাবে নবী (সাঃ) এর ঘরে অবস্থান করবে না - (৩৩:৫৩)

৬৭। যাদের সামর্থ আছে, তাদের উচিত কম ভাগ্যবানদের খরচ চালিয়ে যাওয়া - (২৪:২২)

৬৮।অনুমতি ছাড়া কারো বাড়িতে প্রবেশ কোরো না এবং প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করলে ফিরে আসবে - (২৪:২৭ - ২৮)

৬৯। যারা ধর্ম নিয়ে উপহাস করে তাদের সাথে বোসো না যতক্ষণ না তারা বিষয় পরিবর্তন করে - (৪:১৪০)

৭০। ক্ষমা করা অভ্যাসে পরিণত করো, নেকির আদেশ করো, ও মূর্খদের অবহেলা করো - (৭:১৯৯)

৭১। প্রয়োজন হলে নবী(সাঃ)এর স্ত্রীদের জিজ্ঞাসা করো - (৩৩:৫৩)

৭২। নিজের স্ত্রীকে রেখে কষ্ট দেওয়ার পরিবর্তে নম্রভাবে তালাক দাও - (২:২৩১)

৭৩। ভারসাম্য ভাবে শাস্তি দাও যেভাবে তুমি আঘাত পেয়েছো অথবা ধৈর্য ধারণ করো - (১৬:১২৬)

৭৪। ভাষা ও বর্ণের পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন, এর অর্থ কোন প্রকার শ্রেষ্ঠত্ব নয় – (৪৯:১৩)

৭৫। ক্ষমতা বা বলপ্রয়োগ করে কোনো নারীকে গ্রহণ কোরো না, প্রকৃত কারণ ছাড়া বিয়ের উপহার ফিরিয়ে নিও না এবং তাদের সাথে সদয়ভাবে বসবাস করো - (৪:১৯)




শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

ঈমান ও ইসলাম

শনিবার, আগস্ট ০৯, ২০২৫ 0
বার দেখা হয়েছে

ঈমান ও ইসলাম (ইতিক্বাদ নামা পুস্তুকের অনুবাদ) লেখে মাওলানা জিয়াউজিন খাকলদ আল বাগদাদী (আল্লাহ িায়াোর রহমিপ্রাপ্ত তবখযাি আকেম, তিতন সেে লেকে োকমে, ধমীয় বযাপাকর িার অসাধারন জ্ঞান, নযায় তবচাকরর েমিা রকয়কে এবং তিতন সিয পরায়ন)





শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

আর রাহীকুল মাখতূম: একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ

শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫ 0
বার দেখা হয়েছে
আর রাহীকুল মাখতূম: একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত পর্যালোচনায়, সীরাতের ঘটনামালার সুসংহত ও মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সত্যিই এক নজিরবিহীন রচনা। আল কুরআনুল কারীম, হাদীসে নববী ও বিশুদ্ধ আছার এবং ঐতিহাসিক বর্ণনার নির্যাস বের করে প্রাজ্ঞ লেখক তাঁর এ বইটি সুবিন্যস্ত করেছেন। সীরাতবিষয়ে লিখিত প্রাচীন গ্রন্থাদি থেকেও তিনি বহু মণিমাণিক্য উপস্থাপন করেছেন যা ত্রুটিরহিত সংক্ষিপ্ততায়, সুখপাঠ্য দীর্ঘ আলোচনায়, অত্যন্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। সে হিসেবে, বইটি, বন্ধ্যাত্বের এই আধুনিক যুগে পূর্ণাঙ্গ ও পর্যাপ্ত তথ্যসমৃদ্ধ হয়ে পাঠকের সামনে হাজির হয়েছে। বইটি নির্ভরযোগ্যতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড রক্ষা করে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সীরাত উপস্থাপন করেছে, যা পাঠকের সামনে উজ্জ্বল করে দেয় সীরাতুল মুস্তাকীমের নিশানাসমগ্র। দেখিয়ে দেয় সীরাতুন্নাবী পাঠের সঠিক পদ্ধতি। এসব কারণে রাবেতায়ে আলামে ইসলামী কর্তৃক সীরাতুন্নবী গ্রন্থ-প্রতিযোগিতায় যুক্তিযুক্তভাবেই বইটি প্রথমস্থান অধিকার করে ১২৯৬ হি.সালে।

   



বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা এবং কাফিরদের উপর ব্যাপক হামলার বিধান

বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ 0
বার দেখা হয়েছে

সামরিক-বেসামরিক বলতে কী বোঝায়

  

সামরিক-বেসামরিক বলতে কী বোঝায়?

আমাদের আলোচ্য বিষয় বুঝতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে সামরিক ও বেসামরিক বলতে কী বুঝায়? বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে কোনো দেশের সামরিক নাগরিক বলতে বোঝায় যারা সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য এবং দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত তারা, এমনিভাবে যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তারাও সামরিক। আর বাকি সাধারণ নাগরিক যারা রয়েছে তারা সবাই হলো বেসামরিক নাগরিক। এরা পুরুষ হোক নারী হোক, বৃদ্ধ বা শিশু হোক, সুস্থ-সবল হোক দুর্বল হোক অথবা অসুস্থ হোক, যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলে কিংবা কোনো সামরিক বাহিনীতে না থাকলে বেসামরিক বলেই গণ্য হয়। কিন্তু ইসলাম কি সামরিক-বেসামরিকের এই কনসেপ্ট গ্রহণ করেছে? বর্তমানে প্রচলনে সামরিক-বেসামরিক বলতে যেটা বোঝানো হয় সেটা কি মুসলিমরা মানতে বাধ্য? অসম্ভব, কখনোই নয়। ইসলাম স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র দীন। ইসলামী শরীয়তে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, যুদ্ধের সময় কাদেরকে হত্যা করা যাবে এবং কাদেরকে হত্যা করা যাবে না? আমাদের ফুকাহায়ে কিরাম কোন্ পরিস্থিতিতে কাকে হত্যা করা যাবে এবং কোন্ পরিস্থিতিতে কাকে হত্যা করা যাবে না তার সবকিছু নিয়েই খুলে খুলে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ইসলামেরও একটি নিজস্ব সামরিক-বেসামরিক সংজ্ঞা রয়েছে। এজন্য আমাদের প্রথমে জানতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে সামরিক কারা এবং বেসামরিক কারা? যুদ্ধের সময় কাদেরকে হত্যা করা যাবে এবং কাদেরকে হত্যা করা যাবে না? মূলত ফিকহের বড় বড় প্রায় সব কিতাবেই 'কিতাবুস সিয়ার' বা 'কিতাবুল জি হা দে' কাফেরদের মধ্যে কাদেরকে যুদ্ধের সময় হত্যা করা যাবে এবং কাদেরকে হত্যা করা যাবে না এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে অল্প জায়গায় খোলাসা উল্লেখ করে সবচেয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন ইমাম আলাউদ্দীন আল কাসানী রহিমাহুল্লাহ তার কালজয়ী ও অনবদ্য গ্রন্থ বাদায়িউস সানায়ি'তে। তিনি বলেন,

[فصل في بيان من يحل قتله من الكفرة ومن لا يحل] وأما بيان من يحل قتله من الكفرة ومن لا يحل، فنقول: الحال لا يخلو إما أن يكون حال القتال، أو حال ما بعد الفراغ من القتال، وهي ما بعد الأخذ والأسر؛


أما حال القتال فلا يحل فيها قتل امرأة ولا صبي، ولا شيخ فان، ولا مقعد ولا يابس الشق، ولا أعمى … ولو قاتل واحد منهم قتل، وكذا لو حرض على القتال، أو دل على عورات المسلمين، أو كان الكفرة ينتفعون برأيه، أو كان مطاعا، وإن كان امرأة أو صغيرا؛ لوجود القتال من حيث المعنى.


وقد روي «أن ربيعة بن رفيع السلمي – رضي الله عنه – أدرك دريد بن الصمة يوم حنين، فقتله وهو شيخ كبير كالقفة، لا ينفع إلا برأيه، فبلغ ذلك رسول الله – صلى الله عليه وسلم – ولم ينكر عليه»


والأصل فيه أن كل من كان من أهل القتال يحل قتله، سواء قاتل أو لم يقاتل، وكل من لم يكن من أهل القتال لا يحل قتله إلا إذا قاتل حقيقة أو معنى بالرأي والطاعة والتحريض، وأشباه ذلك على ما ذكرنا…

অর্থঃ “অধ্যায়: যেসব কা*ফেরকে হ*ত্যা করা জায়েয এবং যাদের হ*ত্যা করা জায়েয নয়ঃ


এ সম্পর্কে আমরা বলব, এক্ষেত্রে দুটি অবস্থা। যুদ্ধরত অবস্থা এবং যুদ্ধ থেকে ফারেগ হওয়ার পর গ্রেফতার ও বন্দী করা অবস্থা।


যুদ্ধ চলাকালে নারী, শিশু, অতিশয় বৃদ্ধ, বিকলাঙ্গ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং অন্ধকে… হ*ত্যা করা জায়েয নেই। তবে এদের কেউ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলে তাকে হ*ত্যা করা হবে। এমনিভাবে যদি তাদের কেউ যুদ্ধে উৎসাহ দেয়, মুসলমানদের বিপক্ষে গোয়েন্দাগিরি করে, কা*ফেররা তার মতামত দ্বারা লাভবান হয় অথবা সে অনুসরণীয় (নেতৃস্থানীয়) হয় -হোক সে নারী বা শিশু- (তাহলে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও) পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার কারণে তাকেও হ*ত্যা করা হবে।


এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত রবিআ ইবনে রাফি আসসুলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু হুনাইন যুদ্ধের দিন দুরাইদ ইবনে সিম্মাহকে বাগে পেয়ে হত্যা করেন। অথচ তখন সে ছিল ক্ষীণকায় ও অতিশয় বৃদ্ধ। তার বুদ্ধি-পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে উপকৃত হওয়ার পথ তাদের ছিল না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এ খবর পৌঁছলে তিনি কোন আপত্তি করেননি।


এক্ষেত্রে মূলনীতি হল, যে কেউ যুদ্ধ করার উপযুক্ত, সে যুদ্ধ করুক বা না করুক- তাকে হ*ত্যা করা জায়েয। আর যে যুদ্ধের উপযুক্ত নয়, তাকে হ*ত্যা করা নাজায়েয। তবে যদি তারা সরাসরি যুদ্ধে আসে অথবা বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে, কিংবা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হওয়ার কারণে কিংবা উৎসাহ প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে লড়াইয়ে অংশ নেয়, তাহলে (সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও) তাদেরকে হ*ত্যা করা জায়েয। (বাদায়িউস সানায়ি’: ৯/৩৩৮-৩৪৮, প্রকাশনীঃ দারুল হাদীস)


এটাই হলো, ইসলামের সামরিক বেসামরিক কনসেপ্ট। ইসলাম অন্যদের থেকে ধার করে চলে না। অর্থাৎ ইসলামে সামরিক তারাই যারা যুদ্ধ করতে সক্ষম, সে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করুক বা না করুক। পক্ষান্তরে যারা যুদ্ধে অক্ষম তারাই হল বেসামরিক। যেমন নারী, শিশু, অতি বৃদ্ধ, এমন পাদ্রী যে সারাজীবন শুধু গির্জাতেই পড়ে থাকে এবং সাধারণ মানুষের সাথে মিশে না, এমন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি যার পক্ষে কোনোভাবেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। তবে এ ধরণের ব্যক্তিরাও যদি যেকোনোভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তাহলে তাদেরকেও  হত্যা করা যাবে। এমনিভাবে যদি তারা এমন মেধাবী হয় যাদের দ্বারা যুদ্ধের কাজে সাহায্য নেওয়া যায় কিংবা পরামর্শ নেওয়া যায় অথবা সে সমাজের নেতা বা অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হয় তাহলে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও তাদেরকে হত্যা করা যাবে। এটাই ইসলামের সামরিক-বেসামরিক কনসেপ্ট। ফিকহের বড় বড় সব কিতাবেই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সকল দলীল ও রেফারেন্স একত্র করতে গেলে বিশাল একটি গ্রন্থ হয়ে যাবে। তাই আপাতত সামান্য কয়েকটি উদাহরণ দেখুন,

আল হিদায়াঃ ২/৩৪০-৩৪১,প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল ফাতাহ (কম্পিউটার নুসখা) , আল ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যাহঃ ২/২১১, বাবু কাইফিয়্যাতিল কিতাল, প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ (দেওবন্দ), তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমঃ ৩/৩৫-৩৬, প্রকাশনীঃ মাকতাবাতু দারিল উলুম, করাচী)


পাঠক লক্ষ্য করে দেখুন, বর্তমানে প্রচলিত সামরিক-বেসামরিক কনসেপ্টের সাথে ইসলামী শরীয়তের সামরিক-বেসামরিক কনসেপ্টের বিশাল পার্থক্য। এই সহজ বিষয়টা অনেকেই  তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। প্রচলিত অর্থে বেসামরিক নাগরিক হলেই ইসলাম তাদেরকে হত্যা করতে নিষেধ করে এমন অনর্থক ও ফালতু কথা অনেক বড় বড় ব্যক্তিদেরকেও বলতে শোনা যায়! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অথচ এটা ইসলামী শরীয়তের একটি প্রসিদ্ধ মাসআলা। ফিকহের একজন সাধারণ থেকে সাধারণ তালিবুল ইলমেরও এই মাসআলা হল (সমাধান) থাকা দরকার ছিলো! অথচ আমাদের পরিচিত ভালো ভালো মেধাবী বড় ভাইদেরও এক্ষেত্রে পদস্খলনের শিকার হতে দেখা যাচ্ছে। و إلى الله المشتكى


যাইহোক, এটা হলো স্বাভাবিক অবস্থার কথা। অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃতভাবে কাদেরকে টার্গেট করে হত্যা করা যাবে এবং কাদেরকে হত্যা করা যাবে না তাদের আলোচনা। কিন্তু যদি কাফের নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ এমনকি মুসলিমরাও একত্রে একটা অঞ্চলে বা একটা জায়গায় থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে হামলা করা জায়েয আছে কি-না? অর্থাৎ আমরা নিশ্চিত যে হামলা করলে অনেক নারী শিশু এমনকি মুসলিমও মারা যেতে পারে এটা জানা সত্ত্বেও তাদেরকে টার্গেট না করে সেই অঞ্চলে বা জায়গায় ব্যাপক হামলা করা যাবে কি-না?


এক্ষেত্রে প্রথমেই আমরা উপমহাদেশের অন্যতম মান্যবর আলেম মুফতী তাকী উসমানী হাফিযাহুল্লাহর বক্তব্য তুলে ধরছি! তিনি তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমে একটি হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন,

" لا بأس إذن في إصابة النساء و الصبيان. و ليس المراد إباحة قتلهم بطريق القصد إليهم، بل المراد: إذا لم يمكن الوصول إلى الآباء إلا بوطأ الذرية، فإذا أصيبوا لاختلاطهم بهم جاز قتلهم...

و به يؤخذ حكم قذف القنابل في زماننا, فإنه يجوز إذا لم يقصد بها النساء و الصبيان. بل أريد بها النكاية في العدو. فإن أصيب بها النساء و الصبيان من غير قصد فلا بأس بها."

অর্থঃ এমন অবস্থায় (অর্থাৎ হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী মুশরিকদের উপরে রাতে ব্যাপক ও অতর্কিত হামলার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে) নারী এবং শিশুদের হত্যা করলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এর উদ্দেশ্য এই নয় যে, তাদেরকে টার্গেট করে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা বৈধ। বরং উদ্দেশ্য হলো, যদি শিশুদেরকে হত্যা করা ছাড়া বড়দেরকে হত্যা করা সম্ভব না হয়, তাহলে একত্রে মিশে থাকার কারণে তাদেরকে হত্যা করা  হলে তা বৈধ হবে।...

এ থেকে আমাদের যুগে বোমা নিক্ষেপ করার হুকুম গ্রহণ করা যায়। কেননা, নারী ও শিশুদেরকে সরাসরি টার্গেট না করলে তা বৈধ রয়েছে। বরং, এক্ষেত্রে যদি উদ্দেশ্য হয় শত্রুকে পরাস্ত করা এবং এক্ষেত্রে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমঃ ৩/৩৫)


বক্তব্য একদম পরিষ্কার। ইসলামী শরীয়তে দৃষ্টিতে যারা বেসামরিক অর্থাৎ যাদেরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করে হত্যা করা বৈধ নয় তারাও যদি সামরিকদের সাথে (যাদেরকে ইসলামের দৃষ্টিতে সরাসরি যুদ্ধ না করলেও হত্যা করা বৈধ তাদের সাথে) একত্রে মিশে থাকে তাহলে তাদের উপরে ব্যাপকভাবে হামলা করা বৈধ। এতে যদি ইসলামের দৃষ্টিতে বেসামরিক নাগরিক মারাও যায় তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে শর্ত হলো তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করে হত্যা করা যাবে না। এই মাসআলাটাও একদম প্রসিদ্ধ, গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃত মাসআলা। এমনকি ফুকাহায়ে কিরাম সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এমন অবস্থায় যদি কোনো মুসলিম বন্দি বা ব্যবসায়ীও কাফেরদের মাঝে থাকে তবুও ব্যাপকভাবে হামলা করা বৈধ আছে‌। এমনকি যদি তারা মুসলিমদেরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তাহলে সেক্ষেত্রে আগে মুসলিমকে হত্যা করে তারপর তাদেরকে হত্যা করা বৈধ। তবে উদ্দেশ্য থাকবে কাফেররা। মুসলিমরা উদ্দেশ্য থাকবে না। পরবর্তীতে এই হত্যার কারণে কোনো ধরনের কিসাস বা দিয়ত (রক্তপণ) আসবে না। আহলুল ইলম ও তালিবুল ইলমদের উদ্দেশ্যে ইমাম মারগীনানী রহিমাহুল্লাহর হিদায়ার ইবারত তুলে ধরছি,

" ولا بأس برميهم وإن كان فيهم مسلم أسير أو تاجر " لأن في الرمي دفع الضرر العام بالذب عن بيضة الإسلام وقتل الأسير والتاجر ضرر خاص ولأنه قلما يخلو حصن من مسلم فلو امتنع باعتباره لانسد بابه " وإن تترسوا بصبيان المسلمين أو بالأسارى لم يكفوا عن رميهم " لما بينا " ويقصدون بالرمي الكفار " لأنه إن تعذر التمييز فعلا فلقد أمكن قصدا والطاعة بحسب الطاقة. (الهداية: كتاب السير، باب كيفية القتال، ٣/٤٣٩)

আরো দেখুন,

শরহু মুখতাসারিত তহাবীঃ ৭/২১-২২, আল ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যাহঃ ২/২১০, বাদায়িউ সানায়ি': ৩/৩৪৭-৩৪৮


যাইহোক, এ ব্যাপারে সব হাওয়ালা দিতে গেলে পোস্ট আর পোস্ট থাকবে না! কিতাবে পরিণত হয়ে যাবে। পরিশেষে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহর চমৎকার আলোচনা উল্লেখ করছি,


المحرم إنما هو قصد قتلهن فأما إذا قصدنا قصد الرجال بالإغارة أو نرمي بمنجنيق أو فتح شق أو إلقاء نار فتلف بذلك نساء أو صبيان لم نأثم بذلك لحديث الصعب بن جثامة أنه سأل النبي صلى الله عليه وسلم عن أهل الدار من المشركين يبيتون فيصاب الذرية فقال “هم منهم” متفق عليه ولأن النبي صلى الله عليه وسلم رمى أهل الطائف بالمنجنيق مع أنه قد يصيب المرأة والصبي وبكل حال فالمرأة الحربية غير مضمونة بقود ولا دية ولا كفارة لأن النبي صلى الله عليه وسلم لم يأمر من قتل المرأة في مغازيه بشيء من ذلك فهذا ما تفارق به المرأة الذمية


 وإذا قاتلت المرأة الحربية جاز قتلها بالاتفاق لأن النبي صلى الله عليه وسلم علل المنع من قتلها بأنها لم تكن تقاتل فإذا قاتلت وجد المقتضى لقتلها وارتفع المانع. اهـ


“নিষেধ হল- ইচ্ছাকৃত টার্গেট বানিয়ে মহিলাদের হ*ত্যা করা। সুতরাং যদি আমরা পুরুষদের উদ্দেশ্যে বা কোন অঞ্চল বিজয়ের জন্য অতর্কিত আক্রমণ করি বা মিনজানিক (প্রাচীন ক্ষেপণাস্ত্র) দিয়ে আগুন ইত্যাদি নিক্ষেপ করি, ফলে কিছু নারী বা শিশু ধ্বংসের শিকার হয়, এ কারণে আমরা গুনাহগার হব না। কেননা, সা’ব ইবনে জাসসামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে এসেছে, তিনি মু*শরিকদের ভূমিতে অতর্কিত আক্রমণের ফলে নিহত শিশুদের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ওরা ওদের (মু*শরিকদের)-ই অন্তর্ভুক্ত’। (সহীহ বুখারী ও সহীহ ‍মুসলিম)। এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফ বাসীর উপর মিনজানিক হামলা করেছেন। অথচ এর দ্বারা অনেক সময় নারী-শিশু আক্রান্ত হয়ে থাকে।


সর্বোপরি কথা হল, হা*রবী মহিলার কোন কিসাস, দিয়ত বা কাফফারার বিধান নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুদ্ধসমূহে কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে হ*ত্যা করে থাকলে, তিনি তাকে এসব কিছুর হুকুম দেননি। এটাই হা*রবী ও যিম্মি নারীর পার্থক্য।


হা*রবী মহিলা যদি লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তাহলে সকলের ঐকমত্যে তাকে হ*ত্যা করা জায়েয। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হ*ত্যা করা নিষেধ হওয়ার কারণ এই বলেছেন যে, ‘সে তো কি*তাল করে না’। সুতরাং যখন সে কি*তালে লিপ্ত হবে, তখন হত্যার উপযুক্ত কারণ পাওয়া গেল এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ বিলুপ্ত হয়ে গেল …।” –আসসারিমুল মাসলূল: ১০৪


যাইহোক বিষয়টি একদম সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার।  এখানে জলঘোলা করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি বিপরীত দাবী করে তাহলে তাকে আমরা বলবো,

هاتوا برهانكم ان كنتم صادقين



শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

পাঁচ কালেমা

শুক্রবার, এপ্রিল ০৪, ২০২৫ 0
বার দেখা হয়েছে



(১) কালেমা তাইয়্যেবা

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْ لُ الله

উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ।

অর্থঃ আল্লাহ ভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর উপযুক্ত আর কেহই নাই । হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তাঁহার প্রেরিত রসূল ।

(২) কালেমা শাহাদত

اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلَهَ اِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَشَرِيْكَ لَه’ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه’ وَرَسُوْلُه’

উচ্চারণঃ আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওহদাহু লা-শারীকালাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাছুলুহু ।

অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে , অল্লাহ ভিন্ন আর কেহই ইবাদতের উপযুক্ত নাই তিনি এক তাঁহার কোন অংশীদার নাই ।আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং তাঁহার প্রেরিত নবী ।

(৩) কালেমা তাওহীদ

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ وَاحِدَ لاَّثَانِىَ لَكَ مُحَمَّدُرَّ سُوْلُ اللهِ اِمَامُ الْمُتَّقِيْنَ رَسُوْ لُرَبِّ الْعَلَمِيْنَ

উচ্চারণ ঃ লা-ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহেদাল্লা ছানীয়ালাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লা ইমামুল মোত্তাকীনা রাছুলুরাবি্বল আলামীন ।

অর্থঃ আল্লাহ ভিন্ন কেহ এবাদতের যোগ্য নাই । তিনি এক তাঁহার অংশীদার নাই মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সোত্তাকীনদের (ধর্মভীরুগণের) ইমাম এবং বিশ্বপালকের প্রেরিত ।

(৪) কালেমা তামজীদ

لاَ اِلَهَ اِلاَّ اَنْتَ نُوْرَ يَّهْدِىَ اللهُ لِنُوْرِهِ مَنْ يَّشَاءُ مُحَمَّدُ رَّسَوْ لُ اللهِ اِمَامُ الْمُرْسَلِيْنَ خَا تَمُ النَّبِيِّنَ

উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লা আনতা নুরাইইয়াহ দিয়াল্লাহু লিনুরিহী মাইয়্যাশাউ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামূল মুরছালীনা খাতামুন-নাবিয়্যীন ।

অর্থঃ হে খোদা! তুমি ব্যতীত কেহই উপাস্য নাই, তুমি জ্যোতিময় । তুমি যাহাকে ইচ্ছা আপন জ্যোতিঃ প্রদর্শন কর । মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রেরিত পয়গম্বরগণের ইমাম এবং শেষ নবী।

(৫) কালেমা রদ্দেকুফর

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ اَنْ اُشْرِكَ بِكَ شَيْئً وَاَنَا اعَلَمُ بِهِ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا اعَلَمُ بِهِ وَمَا لاَاعَلَمُ بِهِ تُبْتُ عَنْهُ وَتَبَرَّأتُ مِنَ الْكُفْرِ وَالشِّرْكِ وَالْمَعَاصِىْ كُلِّهَا وَاَسْلَمْتُ وَاَمَنْتُ وَاَقُوْلُ اَنْ لاَّاِلَهَ اِلاَّاللهُ مُحَمَّدُ رَّسَوْلُ اللهِ –

উচ্চারণ ঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আন উশরিকা বিকা শাইআও ওয়া আনা আলামু বিহি ওয়া আসতাগ ফিরুকা লিমা আলামু বিহি ওয়ামা লা আলামু বিহি তুবতু আনহু ওয়া তাবাররাতু মিনাল কুফরি ওয়াশ্শির্কি ওয়াল মা আছি কুল্লিহা ওয়া আসলামতু ওয়া আমানতু ওয়া আক্বলু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদু রাসূলুল্লাহ ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশা করছি, যেন কাহাকেও তোমান সহিত অংশীদার না করি । আমার জানা-অজানা গুনাহ হতে ক্ষমা চহিতেছি এবং ইহা হতে তওবা করিতেছি । কুফর, শিরক এবং অন্যান্য সমস্ত গুনাহ হতে বিদুরীত হইতেছি এবং প্রতিজ্ঞা করিতেছি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নাই, মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) তাঁহার রাসুল ।



ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png