LIVE
Loading latest headlines...

রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

হযরত সাদ নবীর একজন সাহাবীর ঘটনা শুনলে চোখের পানি এসে যাবে

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ 2
বার দেখা হয়েছে



হযরত সাদ নবীর একজন সাহাবীর ঘটনা শুনলে চোখের পানি এসে যাবে----

সাহাবী দের ঘটনা শুনলে সত্যি চোখে পানি এসে যায়….।

হযরত সাদ সালামি আল্লাহর নবীর একজন সাহাবী ছিলেন । তিনি অত্যন্ত গরীব সাহাবী ছিলেন।

গায়ের রং ছিল খুবই কালো এবং মুখের মধ্যে ছিল বসন্তের দাগ। একদিন সাদ (রা: ) রাসূলে পাকের দরবারে বসে কাঁদতে ছিলেন।


হুজুর ( সা: ) তাকে কান্না করার কারন জিজ্ঞেস করলেন?

জবাবে সাদ (রা: ) বলতে শুরু করলেন,

ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি আপনার হাতে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছি ৮ মাস হল। এই ৮ মাস আমি মদিনার অলিতে গলিতে কত জায়গায় ঘুরলাম বিয়ের জন্য কিন্ত আমি দেখতে অসুন্দর বলে কেউ আমাকে মেয়ে দেয়না।


আমি আপনার সকল সুন্নাত পালন করতে পারলেও আপনার একটি সুন্নাত বিয়ে যা আমি পালন করতে পারিনি । তাই আমি ভয়ে কান্না করছি যদি এই সুন্নাত না মানার জন্য আল্লাহ্ আমাকে জান্নাত হতে বঞ্চিত করেন।


রাসুল (স: ) সাদকে বললেন এই মদিনার সবচেয়ে ধনী লোক আমর ইবনে ওহাবের মেয়ে মদিনার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের সাথে আমি রাসূল তোমার বিয়ে দিয়ে দিলাম।

এখন তুমি আমর ইবনে ওহাবের বাড়িতে যাও এবং তাকে গিয়ে বল আমি তার মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে দিয়েছি ।

সাদ (রা: ) আমর ইবনে ওহাবের বাড়িতে গেলেন এবং আমর ইবনে ওহাবকে সব কিছু খুলে বললেন । সাদ (রা: ) এর কথা শুনে আমর ইবনে ওহাব খুব রাগন্নিত হয়ে তার সাথে খারাপ আচরণ করে বাড়ি হতে বের করে দিলেন।


এদিকে আমর ইবনে ওহাবের মেয়ে ঘরের ভেতর থেকে সব শুনতে পেলেন । যখন আমর ইবনে ওহাব ঘরে ঢুকলেন তার মেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলো বাবা তোমাকে এত বড় সাহস কে দিল যে রাসূলের কথা অমান্য করলেন?


আল্লাহর রাসূল আমার জন্য যে ছেলেকে পছন্দ করেছেন আমিও তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিলাম। মেয়ের কথা শুনে আমর ইবনে ওহাব দৌড়ে রাসূলের দরবারে গেলেন এবং রাসূলের কাছে মাফ চাইলেন।


প্রিয় নবীজী সা. তাকে মাফ করে দিলেন। আর সাদ (রা: ) এর বিয়ের জন্য ৬০০ দিরহাম মোহরানা ধার্য করলেন এবং বললেন এখন তুমি তোমার স্ত্রীর কাছে যাও। কিন্ত সাদ (রা: ) এত গরীব ছিলেন তার পক্ষে ৬০০ দিরহাম জোগাড় করা সম্ভব ছিল না | তাই অন্যান্য সাহাবীরা মিলে সাদ (রা: ) কে সাহায্য করলেন যাতে উনি উনার স্ত্রীর মোহরানা আদায় করেও নতুন বৌয়ের জন্য কিছু সদাই করতে পারেন।


ওদিকে সাদ (রা: ) বাজারে চলে গেলেন কেনাকাটা করার জন্য। যখন নতুন বৌয়ের জন্য কেনাকাটা করতে দোকানে ঢুকলেন হঠাৎ শুনতে পেলেন মদিনার বাজারে কে যেন জিহাদের ডাক দিচ্ছে ? জিহাদের ডাক শুনে সাদ (রা: ) ভাবলেন আমি সাদ ফুলের বিছানা বাসর ঘরে নতুন স্ত্রীর কাছে যাবো না আমি রাসূলের মহব্বতে জিহাদে যাবো । তাই তিনি বিয়ের টাকা খরচ করে যুদ্ধের সরঞ্জাম ক্রয় করে জিহাদে চলে গেলেন।


এদিকে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সাদ (রা: ) একের পর এক

কাফিরকে হত্যা করে জাহান্নামে পাঠাতে লাগলেন। যুদ্ধ করতে করতে এরকম হঠাৎ সাদ (রা: ) শাহাদাতের পেয়ালায় শরবত পান করে শহীদ হয়ে গেলেন। এদিকে যুদ্ধ শেষ হল। দূর হতে দেখা যায় কার যেন লাশ পড়ে আছে ? রাসুল (স: ) ও সাহাবীরা কাছে গিয়ে দেখলেন এ যে সাদের লাশ।


মাথার লোহার টুপি ভেঙ্গে মগজ বের হয়ে গেছে আর জিহ্বা বের হয়ে আছে। সাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে রাসূল (স: ) কেঁদে দিলেন আবার পরক্ষণেই আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং আবার আকাশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। একজন যুবক সাহাবী আবু লুবাবা রাসূলকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন।


রাসুল (স: ) বললেন আমার সাদ ফুলের বিছানা বাসর ঘরে যায়নি, আমার মহব্বতে শহীদ হয়ে গেল তাই স্নেহের কারণে আমার চোখ হতে পানি ঝড়ে পড়ল। আর আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসলাম কারণ আল্লাহ আমার সাদকে খুব সুন্দর একটা মাকাম দান করেছেন আর চোখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ হল আমার সাদ শহীদ হয়েছে তাই আকাশের সব দরজা খুলে গিয়েছে।


বেহেস্ত হতে অসংখ্য হুর দৌড়ে আসতেছে যে কার আগে কে সাদকে কোলে নিবে ? দৌড় দেওয়ার কারণে হুরদের সামনের পর্দা সরে যাচ্ছিলো যা দেখে আমি রাসূল লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নিলাম।


আল্লাহ যেন আমাদের সকলের ওনার মত। ঈমান নিয়া পরকালে যাবার। তৌফিক দান করে সকলে বলি আমিন।



কারবালার প্রান্তরে

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

book-of karbalar-prantore

by
Muhammad-shafi-ukarvi

 



কুরআনের অভিধান

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

কুরআনের বাংলা অভিধান





প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে


জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে? কবির এই কবিতার যথার্থতা ১৪০০ বছর আগে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। “প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে৷ আর আমি ভালো ও মন্দ অবস্থার মধ্যে ফেলে তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করছি, শেষ পর্যন্ত তোমাদের আমার দিকে ফিরে আসতে হবে৷” ( সূরা আম্বিয়াঃ ৩৫ ) 


আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেনঃ প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ বদলা দেওয়া হবে। তারপর যাকে দোজখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।(সুরা আল ইমরান: ১৮৫)। 


দুনিয়াতে যেই আসে সেই চলে যাবে। এখানে আসার অর্থই তাকে যেতে হবে। আর আসার পর থেকেই যাওয়ার সময় এগুচ্ছে। একজন লোক আসার পর থেকে আমরা দেখছি সে বড় হচ্ছে। কিন্তু আসলে তার যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। যাওয়ার দিকে সে অগ্রসর হচ্ছে। ইসলামী দর্শন এবং ভাবধারায় মৃত্যু একটি নিশ্চিত এবং অবশ্যম্ভাবী ব্যাপার। এর দ্বারা শুধুমাত্র জীবনের পরিসমাপ্তি বুঝায় না বরং এর দ্বারা বুঝায় আত্মার অবস্থার পরিবর্তন। ইসলামী বিশ্বাস মতে সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) এই জগত এবং জীবন সৃষ্টি করেছেন পরীক্ষা এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে। 


মৃত্যুর দ্বারা মানুষের জাগতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

মানুষ জানে যে তাকে একদিন মরতে হবে। আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে মানবজাতিকে তার মৃত্যুর কথা অবহিত করেছেন। নবী-রাসুলরা তাঁদের উম্মতদের পার্থিব জীবনের পর আরেকটি জীবনের কথা বর্ণনা করেছেন। মানুষের মৃত্যুর কথা অবহিত করার কারণ হলো, যাতে তারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। মৃত্যুর পর যদি আর কোনো জীবন না থাকত, তাহলে মৃত্যু নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ থাকত না। 


মৃত্যু যদি জীবনাবসানের নাম হতো, তবে পৃথিবীতে যার যার ইচ্ছামতো চলার সুযোগ থাকত। কিন্তু মুমিন মাত্রই বিশ্বাস করে যে মৃত্যু মানে এক জীবন থেকে আরেক জীবনে প্রত্যাবর্তন। একটি জীবন শেষ করে আরেকটি নতুন জীবনের সূচনা করা। দুনিয়ার জীবন অস্থায়ী, আর পরকালের জীবন স্থায়ী। দুনিয়ার সুখ-শান্তি আখিরাতের সুখ-শান্তির তুলনায় তুচ্ছ ও অতি নগণ্য। আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার মৃত্যুর কথা জানিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু কখন, কার কোন জায়গায় মৃত্যু হবে, তা গোপন করেছেন। 


হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, মানুষের চোখের দুই ভ্রুর মাঝখানে মৃত্যুর তারিখ লেখা আছে। কিন্তু মানুষ তা দেখতে পায় না। মানুষ থেকে মৃত্যুর তারিখ অজ্ঞাত রাখার কারণ হলো, যদি মানুষ মৃত্যুর নির্দিষ্ট তারিখ জানত, তাহলে এ পৃথিবী অচল হয়ে যেত। মানুষ ঘর-সংসার করত না। মৃত্যুর সময় অজ্ঞাত হওয়ার কারণে মানুষ মনে করে সে দীর্ঘজীবী হবে, এমনকি মৃত্যুর কথাও ভুলে যায়। মানুষ তার মৃত্যুর কথা জানলেও জানেনা তার মৃত্যুর তারিখ ও সময়। মানুষ একেক জন একেক সময় মৃত্যুবরণ করে। তবে তার মৃত্যুর সময় ও তারিখ নির্দিষ্ট। মায়ের জরায়ুতেই তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি কোনো জনপদকে ধ্বংস করিনি, কিন্তু তার নির্দিষ্ট সময় লিখিত ছিল। কোনো সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের আগে যায় না এবং দেরিও করে না।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৪৫)


দূনিয়াতে সবচেয়ে কষ্টদায়ক হচ্ছে মানুষের মৃত্যু। কারো আপন জনের মৃত্যুতে স্বজনের বিয়োগ ব্যাথাই নয় বরং মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিও প্রচণ্ড শারীরিক কষ্টের সম্মুখীন হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মৃত্যুকালীন সময়ের এ কষ্টের বিবরণ তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন। আবার মৃত্যুর এ ভয়াবহতা থেকে মুক্তি লাভের সুস্পষ্ট আমলও শিখিয়ে গেছেন।


তাম্বীহুল গাফেলিনে মৃত্যুকালীন কষ্টের ওপর একটি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার হজরত কাব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেছিলেন, আমাকে মৃত্যুর অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলুন। তখন হজরত কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘মৃত্যু হলো কাঁটাদার গাছের মতো। কাঁটাযুক্ত সে গাছটি যখন মানুষের পেটে ঢোকানোর পর তার প্রতিটি কাঁটা শিরায় শিরায় লেগে যায়। তখন একজন শক্তিশালী মানুষ যদি গাছিটি ধরে জোরে টেনে বের করার চেষ্টা করে। ওই মুহূর্তে শিরায় শিরায় বিদ্ধ হওয়া কাঁটার আঘাতের কষ্ট মানুষটি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করে। অনুরূপভাবে মানুষের মৃত্যুকালীন সময়ে মৃত্যুপথযাত্রীর কাছেও মনে হয় যেন, তার শরীরের গোশতগুলো যেন একটি কাঁটার সঙ্গে বেরিয়ে আসছে। সে মৃত্যুযন্ত্রণা মানুষ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করে থাকে। এ হলো মৃত্যুকালীন সময়ে মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণার নমুনা। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে সেভাবে ভয় কর; যেভাবে ভয় করা উচিত। এবং অবশ্যই (সবধান!) মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১০২)


ছোট্ট একটি শব্দ মৃত্যু! এক শব্দে শেষ হয়ে যায় একটি অধ্যায়। মৃত্যু এমনই এক শব্দ, যা আমাদের নিয়ে যায় অজানা কোন রাজ্যে, যার সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে কেউ যেতে চায় না। কিন্তু যখন মৃত্যুর ডাক এসে যায়, প্রিয়তমা স্ত্রী, আদরের সন্তান, বাবা-মা কেউ তাদের বন্ধন দিয়ে ধরে রাখতে পারে না। আমরা প্রতি মুহূর্তে এই মৃত্যুকে নিজের সাথে বয়ে বেড়াই। কেউ জানি না এক মিনিট পরে এই পৃথিবীতে আর বেঁচে থাকবো কিনা। 


মৃত্যু সংক্রান্ত ইসলামী ব্যাখ্যা এতটাই ব্যাপক যেন এটা একটা ছবির মতই পরিষ্কার। মৃত্যু নিয়ে অনেক বছর ধরেই গবেষকরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। কেউ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন মৃত্যুর কারণ। কেউ খুঁজছেন মৃত্যু আসন্ন হলে ওই ব্যক্তি কী কী অনুভব করে। কেউ জানার চেষ্টা করছেন মৃত ব্যক্তির অনুভূতি আছে কিনা। মৃত্যু আসন্ন হলে শেষবারের মতো আরেকটু বাঁচার আকুতি জাগে কিনা। কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর জানার বাইরেই রয়ে গেছে। তবে ইসলাম মৃত্যুকালীন, মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে বেশ স্পষ্ট করেই বর্ণনা করেছে। 


হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যখন মানুষের অন্তিমকাল উপস্থিত হয় এবং রূহ বের হবার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন চারজন ফেরেশতা তার কাছে উপস্থিত হয়। মৃত্যুর ফেরেশতা (মালাক উল মউত, যাকে আজরাইল ও বলা হয়) মৃত ব্যক্তির রুহ তথা আত্মা শরীর থেকে বের করে নিয়ে যান, এবং তার সাথে থাকেন আরও অন্যান্য ফেরশতারা। মৃত ব্যক্তির জাগতিক জীবনাচারের উপর ভিত্তি করে তার মৃত্যুর আয়োজন ঠিক করা হয়। 


মৃত্যুর পূর্বে ৪ জন ফেরেস্তা তার কাছে উপস্থিত হয়ে যেভাবে জানিয়ে দেয় মৃত্যুর আগাম সংবাদঃ

সর্বপ্রথম এক ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে বলবেন,আসসালামু আলাইকুম” হে অমুক! আমি তোমার খাদ্য সংস্থানের কাজে নিযুক্ত ছিলাম কিন্তু এখন পৃথিবীর পূর্ব থেক পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত অন্বেষণ করেও তোমার জন্য এক দানা খাদ্য সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং বুঝলাম তোমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে হয়ত এখনই তোমাকে মরণ সুধা পান করতে হবে। পৃথিবীতে তুমি আর বেশীক্ষণ থাকবে না।


অত:পর দ্বিতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পানীয় সরবরাহের জন্য নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু এখন তোমার জন্য পৃথিবীর সর্বত্র অন্বেষণ করেও এক ফোঁটা পানি সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং আমি বিদায় হলাম।


অত:পর তৃতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পদযুগলের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ছিলাম, কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্র ঘুরেও তোমার জন্য একটি মাত্র পদক্ষেপের স্থান পেলাম না। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।


চতুর্থ ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন হে আল্লাহ বান্দা!আমি তোমার শ্বাস-প্রস্বাস চালু রাখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু আজ পৃথিবীর এমন কোন জায়গা খুঁজে পেলাম না যেখানে গিয়ে তুমি মাত্র এক পলকের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পার। সুতরাং আমি বিদায় নিচ্ছি।

অতঃপর কেরামান কাতেবীন ফেরশতাদ্বয় এসে সালাম করে বলবেন, হে আল্লাহর বান্দা! আমরা তোমার পাপ-পূণ্য লেখার কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন দুনিয়ার সব জায়গা সন্ধান করেও আর কোন পাপ-পূণ্য খুঁজে পেলাম না। সুতরাং আমরা বিদায় নিচ্ছি।এই বলে তারা এক টুকরা কালো লিপি বের করে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা!এর দিকে লক্ষ্য কর। সে দিকে লক্ষ্য করা মাত্র তার সর্বাঙ্গে ঘর্মস্রোত প্রবাহিত হবে এবং কেউ যেন ঐ লিপি পড়তে না পারে এজন্য সে ডানে বামে বার বার দেখতে থাকবে। অত:পর কেরাম কাতেবীন প্রস্থান করবেন। তখনই মালাকুল মউত তার ডান পাশে রহমতের ফেরেশতা এবং বাম পাশে আযাবের ফেরেশতা নিয়ে আগমন করবেন। তাদের মধ্যে কেউ আত্মাকে খুব জোরে টানাটানি করবেন, আবার কেউ অতি শান্তির সাথে আত্মা বের করে আনবেন। কন্ঠ পর্যন্ত আত্মা পৌঁছলে স্বয়ং যমদূত তা কবজ করবেন।


মৃত্যুর পর পুনরুত্থানঃ

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃঃ ‘যারা মুক্তমন নিয়ে শোনে, তারাই সত্যের ডাকে সাড়া দেয়। মহাবিচার দিবসে আল্লাহ মৃতদের পুনর্জীবিত করবেন। তারপর তারা তাঁর কাছেই ফিরে যাবে।’ (সূরা আনজাম, আয়াত ৩৬)। অপর এক আয়াতে বলা হয়েছেঃ ‘তিনিই নিষ্প্রাণ থেকে প্রাণের উন্মেষ ঘটান আবার প্রাণকে করেন নিষ্প্রাণ। ধূসর জমিনকে তিনিই সজীব করে তোলেন। এমনিভাবে তোমাদেরও মৃত অবস্থা থেকে পুনরুত্থিত করা হবে।’ (সূরা রুম, আয়াত ১৯)


মৃত্যুর পর শরীরের অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মৃত্যুর আলামত হলো, নাক একদিকে সামান্য বাঁকা হয়ে যাওয়া। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুতবেগে প্রবাহিত হওয়া ও ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেওয়া। পা ঢিলা হয়ে যাওয়া এবং দাঁড়াতে না পারা। কানপট্টি ভেঙে যাওয়া। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১৮৯, আহকামে মায়্যিত : ২২৬) 


মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে বলে Algor mortis। এটাকে মৃত্যুর দ্বিতীয় ধাপও বলা হয়। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কঙ্কালের পেশীগুলো শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে Rigor mortis, এবং এটি তিন-চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেওয়া দেহের নীচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে Livor mortis; রক্ত জমা হবার কারণে এমন হয়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী এনজাইম ও ব্যাক্টেরিয়া। দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন সময়ে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কের কোষগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে।


উপসংহারঃ আল্লাহ তাআলা মানুষকে যেহেতু তার মৃত্যুর কথা জানিয়ে দিয়েছেন, সেহেতু তার উচিত হবে মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকা। আর মুমিন যেহেতু বিশ্বাস করে তার মৃত্যুর পরে আরেকটি জীবন আছে, সেহেতু তার কর্তব্য হলো পারলৌকিক জীবনের সুখের জন্য কাজ করা। তাদের ভাবা দরকার, আমাদের আগে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের অনেকের কবরও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের অবস্থাও অনুরূপ হবে যে পরবর্তী সম্প্রদায় আমাদের কবরও খুঁজে পাবে না। তাই মুমিনদের উচিত, সর্বপ্রকার গর্ব-অহংকার, অন্যায়-অবিচার, পাপাচার ইত্যাদি অপকর্ম বর্জন করে স্বীয় প্রভুর নির্দেশমতো পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র জীবন লাভ করা এবং আখিরাতের সুখ-শান্তি কামনা করা। সময় বয়ে যাচ্ছে, জন্মের সাথে সাথে জীবন নামক সূর্য ক্রমে অস্তমিত হওয়ার দিক ধাবিত হচ্ছে। আর ভোগ-বিলাস, আনন্দ-আহ্লাদে সময়ক্ষেপণ নয়। এখন থেকেই আখেরাতের প্রস্তুতিতে পাথেয় সংগ্রহে নিজেকে সমর্পণ করে আল্লাহপাক ও রাসুলের (সা.) সন্তুষ্টি, নৈকট্য অর্জনে সময় কাটিয়ে দিই এবং আল্লাহর নির্দেশমতে, কম হাসি এবং বেশি বেশি কাঁদি। 

আমাদের মন-প্রাণ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর সমর্পণ করি। মৃত্যুর ভয় নয়, সময় থাকতে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আল্লাহপাক ও রাসুলের (সাঃ) এর পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে কায়মনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলে সালেহ সৎকর্ম করি এবং পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনা করি। এতে আমরা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করে আখেরাতে নাজাত লাভে সমর্থ হব। আল্লাহ তাআলা আমাদের পরকালের সুখ-শান্তির জন্য বেশি বেশি করে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সূত্রঃ মাসিক আল কা্উসার




আপনজন মারা গেলে যেসব কাজ করা নিষিদ্ধ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

 

প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮৫)


জীবন যার আছে, তাকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। এটাই চিরন্তন সত্য। জন্মেছে কিন্তু আর মরবে না এমনটি চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে মৃত্যুর বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন এভাবে-

کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ


‘প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮৫)

মৃত্যুর পর আপনজন কান্নাকাটি ও বিলাপ করে থাকে। কিন্তু আপনজন মৃত্যুবরণ করার পর তার ছেলে-সন্তানসহ নিকট আত্মীয়দের জন্য এমন কিছু কাজ-কর্ম হারাম বা নিষিদ্ধ। যা সাধারণত তারা করে থাকে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কিছু বিষয় হারাম করেছেন। যে কাজগুলো মানুষ করে থাকে, যখন তাদের আপনজনদের কেউ মারা যায়। তাহলো-


১. মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ বা সুর করে কাঁদা। নবিজি বলেছেন, মানুষের মাঝে দুটি বিষয় রয়েছে যাতে তারা কুফরি করে- ক. বংশের খোঁটা দেয়া, খ. মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাঁদা। এগুলো নিষেধ।


২. গালে বা শরীরে আঘাত করা।


৩. জামা- কাপড় ছেঁড়া। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গাল চাপড়ায় বা জামার গলা বা পকেট ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহিলিয়াতের মতো আচরণ করে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়।


৪. কারো মৃত্যুতে চুল কামিয়ে ফেলা বা মাথা মুণ্ডন করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর ভয়ে উচ্চ আওয়াজকারীনী নারী থেকে এবং মাথামুণ্ডনকারীনী নারী থেকে এবং অধিক কঠিনতা অবলম্বনকারীনী নারী থেকে পবিত্র ছিলেন।


৫. কারো মৃত্যুতে কবিতা বা কাসিদা প্রকাশ করা।


৬. দিনের কিছু সময় মৃত ব্যক্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জন্য কবিতা আবৃত্তি করা।


৭. মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ তার পক্ষ থেকে প্রচার করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শোকসংবাদ ঘোষণায় নিষেধ করেছেন।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে আপনজনের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সুত্র : অনলাইন নিউজ




বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ওসীয়্যতের নির্দেশ

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৫১


মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৫১

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ.

قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُوصِيَ إِذَا أَوْصَى فِي صِحَّتِهِ أَوْ مَرَضِهِ بِوَصِيَّةٍ فِيهَا عَتَاقَةُ رَقِيْقٍ مِنْ رَقِيقِهِ أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا بَدَا لَهُ وَيَصْنَعُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ حَتَّى يَمُوْتَ.

وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَطْرَحَ تِلْكَ الْوَصِيَّةَ وَيُبْدِلَهَا فَعَلَ إِلَّا أَنْ يُدَبِّرَ مَمْلُوكًا فَإِنْ دَبَّرَ فَلَا سَبِيلَ إِلَى تَغْيِيرِ مَا دَبَّرَ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ قَالَ مَالِك فَلَوْ كَانَ الْمُوصِي لَا يَقْدِرُ عَلَى تَغْيِيرِ وَصِيَّتِهِ وَلَا مَا ذُكِرَ فِيهَا مِنْ الْعَتَاقَةِ كَانَ كُلُّ مُوصٍ قَدْ حَبَسَ مَالَهُ الَّذِي أَوْصَى فِيهِ مِنْ الْعَتَاقَةِ وَغَيْرِهَا وَقَدْ يُوصِي الرَّجُلُ فِي صِحَّتِهِ وَعِنْدَ سَفَرِهِ قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ يُغَيِّرُ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ غَيْرَ التَّدْبِيْرِ.

আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ:

রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমানের নিকট কিছু সম্পদ থাকলে যার সম্বন্ধে ওসীয়্যত করা তার কর্তব্য, তবে সেই ক্ষেত্রে ওসীয়্যতের বিষয় না লিখে তার জন্য দুই রাত্রিও অতিবাহিত করা উচিত নায় (কেননা মৃত্যু আসার আশংকা রয়েছে)। (বুখারী ২৭৩৮, মুসলিম ১৬২৭)
মালিক (র) বলেন ইহা আমাদের নিকট সর্বসম্মত বিষয় যে, যদি কোন মুসলমান সুস্থ অথবা অসুস্থ অবস্থায় কোন ওসীয়্যত করে যায় যেমন গোলাম আযাদ করা কিংবা অন্যান্য বিষয়, তবে সে মারা যাওয়ার পূর্বে তার মধ্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে এবং ওসীয়্যতকে স্থগিতও করতে পারবে। অন্য কোন ওসীয়্যতও করতে পারবে। কিন্তু কোন গোলামকে যদি মুদাব্বার করে থাকে তবে তাতে আর কোন পরিবর্তন করতে পারবে না, কেননা রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলমানের এমন কিছু থাকলে যা ওসীয়্যত করা কর্তব্য, তবে ওসীয়্যত করা ব্যতীত দুই রাত অতিবাহিত করা তার উচিত নয়।
মালিক (র) বলেন যদি ওসীয়্যতকারীর নিজ ওসীয়্যতে পরিবর্তন করার ক্ষমতা না থাকত তবে তার ইখতিয়ার হতে বের হয়ে আটক থাকত। যেমন গোলাম আযাদের কথা অথচ মানুষ কোন সময় ভ্রমণে যাওয়ার সময় ওসীয়্যত করে আবার সুস্থ থাকাকালীন ওসীয়্যত করে।
মালিক (র) বলেন আমাদের নিকট প্রত্যেক ওসীয়্যতই বদলানো যায় কিন্তু গোলামকে মুদাব্বার করা হলে তা পরিবর্তনের ইখতিয়ার নাই।

মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৪৫১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


মানুষের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দিবে

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 1
বার দেখা হয়েছে
মানুষের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দিবে


মানুষের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধ সাক্ষ্য দিবে
আল্লাহ তাআলার বাণী-
يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (24)
যেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও তাদের পা তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে।– সূরা নূর ২৪

وَقَالُوا لِجُلُودِهِمْ لِمَ شَهِدْتُمْ عَلَيْنَا قَالُوا أَنْطَقَنَا اللَّهُ الَّذِي أَنْطَقَ كُلَّ شَيْءٍ وَهُوَ خَلَقَكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ (21)
জাহান্নামীরা উহাদের ত্বককে জিজ্ঞাসা করবে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতেছ কেন? তারা উত্তরে বলবে, আল্লাহ- যিনি আমাদেরকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন প্রথমবার এবং তারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। – সূরা হামিম সাজদা ২১

الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ (65)
আজ আমি তাদের মুখে মোহর করে দিবে, তাদের হাত কথা বলবে আমার সাথে আর তাদের পা সাক্ষ্য দিবে তাদের কৃতকর্মের।– সূরা ইয়াসীন ৬৫

আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট ছিলাম। এ সময় তিনি হেসে বললেন, তোমরা কি জান, আমি কেন হাসছি? আমরা বললাম, এ সম্পর্কে আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ  বান্দা তার প্রতিপালকের সাথে যে কথা বলবে, এ জন্য হাসছি।

তখন বান্দা বলবে, হে আমার প্রতিপালক! তুমি কি আশ্রয় দাওনি আমাকে যুলম হতে? রাসুলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বলবেন, হাঁ আমি কারো প্রতি যূলূম করি না। অতঃপর বান্দা বলবে, আমি আমার ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্য ব্যতীত অন্য কারো সাক্ষী হওয়াকে জায়িয মনে করি না । তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেন, আজ তুমি নিজেই তোমার সাক্ষী হওয়ার জন্য যথেষ্ট এবং সম্মানিত লিপিকার বৃন্দও।
 অতঃপর বান্দার মূখের উপর মোহর লাগিয়ে দেয়া হবে এবং তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে হুকুম করা হবে যে, তোমরা বল। তারা তার আমল সম্পর্কে বলবে। এরপর বান্দাকে কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে। তখন বান্দা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে লক্ষ্য করে বলবে, অভিশাপ তোমাদের প্রতি, তোমরা দূর হয়ে যাও। আমি তো তোমাদের জন্যই ঝগড়া করছিলাম।- রিওয়ায়াত ২৬৬


ওসীয়্যত প্রসঙ্গে

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে


حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَصَابَ عُمَرُ أَرْضًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالاً قَطُّ أَنْفَسَ عِنْدِي مِنْهُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي بِهِ قَالَ ‏ "‏ إِنْ شِئْتَ حَبَّسْتَ أَصْلَهَا وَتَصَدَّقْتَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَتَصَدَّقَ بِهَا عُمَرُ أَنَّهُ لاَ يُبَاعُ أَصْلُهَا وَلاَ يُوهَبُ وَلاَ يُورَثُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ - وَزَادَ عَنْ بِشْرٍ - وَالضَّيْفِ - ثُمَّ اتَّفَقُوا - لاَ جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا بِالْمَعْرُوفِ وَيُطْعِمَ صَدِيقًا غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ فِيهِ ‏.‏ زَادَ عَنْ بِشْرٍ قَالَ وَقَالَ مُحَمَّدٌ غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ مَالاً ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) খায়বারে একখন্ড জমি পান। তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললেন, আমি খায়বারে একখন্ড জমি পেয়েছি যা অপেক্ষা উত্তম সম্পদ ইতিপূর্বে আমি পাইনি। আপনি আমাকে এর কি নির্দেশ দেন? তিনি বললেনঃ তুমি চাইলে আসল জমি রেখে দিয়ে এর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ (ফসল) সদাক্বাহ করে দাও। তখন থেকে ‘উমার (রাঃ) সিদ্ধান্ত নেন যে, আসল জমি বিক্রয় করা যাবে না, হেবা করা যাবে না এবং তাতে কোনরূপ উত্তরাধিকার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি তা দান করে দিলেন ফকীর, আত্নীয়স্বজন, দাস মুক্তকরণে, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য। বর্ণনাকারী মুসাদ্দাদ (রহঃ) বিশর সূত্রে মেহমানের কথাও উল্লেখ করেন। পরে তারা একমত হয়ে বর্ণনা করেনঃ যিনি এ সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী হবেন তিনি ন্যায়সঙ্গতভাবে তা থেকে ভোগ করতে পারবেন এবং বন্ধুদেরও আপ্যায়ন করতে পারবেন। কিন্তু নিজের জন্য সঞ্চয় করতে পারবেন না।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৮৭৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস



আমলনামা লিখার জন্য ফেরেশতা নির্ধারিত

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে
আমলনামা লিখার জন্য ফেরেশতা নির্ধারিত


আমলনামা সবার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে

আল্লাহ তাআলার বাণী
وَكُلَّ إِنْسَانٍ أَلْزَمْنَاهُ طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنْشُورًا (13) اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا (14)
আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবালগ্ন করেছি। আর কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব এক কিতাব যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। (আর বলা হবে) পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট।– সূরা ইসরা ১৩-১৪

আমলনামা লিখার জন্য ফেরেশতা নির্ধারিত
وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ (10) كِرَامًا كَاتِبِينَ (11) يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ (12)
অবশ্যই তোমাদের উপর তত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা জানে তোমরা যা কর।– সূরা ইনফিতার-১০-১১

প্রত্যেকটি বিষয়ই লিখা হয়
عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ (17) مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ (18)
ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।– সূরা ক্বাফ:১৭-১৮
আমলনামায় ছোট বড় সব কৃতকর্ম লিখা থাকবে
مَالِ هَذَا الْكِتَابِ لَا يُغَادِرُ صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً إِلَّا أَحْصَاهَا
(তারা বলবে, হায়!) এ কেমন কিতাব (আমলনামা)। এ যে ছোট কড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি- সবই এতে রয়েছে।– সূরা আল কাহফ ৪৯

আমলনামায় ডান হাতে আসলে হিসাব সহজ হবেআর না হয় কঠিন হবে
) فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ (7) فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا (8) وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا (9) وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ (10) فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا (11)
আর যাকে তার আমলনামা তার সোজা হাতে দেওয়া হবে তার হিসাব-নিকাশ সহজেই নেয়া হবে। আর সে তার স্বজনদের নিকট প্রফুল্লচিত্তে ফিরে যাবে। আর যাকে তার আমলনামা পিছন দিক হতে দেয়া হবে, সে (নিজেই) তার নিজের ধ্বংস চাইবে এবং জ্বলন্ত অগ্নিতে প্রবেশ করবে।– সূরা ইনশিকাক ৭-১২


আখিরাতের প্রতি ইমান

বুধবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে
আখিরাতের প্রতি ইমান


আখিরাতের প্রতি ইমান
শায়খ হালিমী (রহ) বলেন- আখিরাতের দিনের প্রতি ইমান আনার অর্থ হলো এই কথার সত্যায়ন করা যে, এই দুনিয়ার দিনের শেষ ও চূড়ান্ত সীমা রয়েছে। অর্থাৎ এই দুনিয়া একদিন টুকরো টুকরো হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আখিরাতের উপর ইমান আনার ব্যাপারে শরহে সদর বা প্রশান্ত চিত্ত হওয়ার জন্য যে বিষয়টি প্রযোজ্য, তা হলো আল্লাহর ভয় বিদ্যমান থাকা। আর এর আলামত হলো দুনিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা কম থাকা। দুনিয়ার কষ্ট ও মুসিবতে হতাশ না হওয়া এবং র্ধৈয ধরা। খাহিশাত বা আসক্তির চাহিদার ব্যাপারে র্ধৈয ধারণ করা। আর আল্লাহ তাআলার নিকট যে প্রতিদান ও সওয়াব রয়েছে তার প্রতি ইয়াকীন রাখা।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آَمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ইমানদার নয়।– সূরা বাকারা ৮

আমরা বর্ণনা করেছি হযরত উমর (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে। যখন তাকে ইমানের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেন,
أَنْ تُؤْمِنَ بِاللهِ، وَمَلَائِكَتِهِ، وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ، وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ
তুমি ইমান আনবে আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসূলগেণের প্রতি, আখিরাত বা শেষ দিবসের প্রতি এবং তাকদীর বা ভাগ্যের ভাল মন্দের প্রতি।
 
নবী (সা) ইরশাদ করেন-
بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ
আমার প্রেরণ এবং কিয়ামত- এই দুটি আঙ্গুলের মত নিকটর্বতী।
এই হাদীসের অর্থ হলো- আমি শেষ নবী। আমার পর আর কোন নবী আসবে না। তবে কিয়ামত বা পরকাল আসবে। যা আমার পরে খুবই নিকটর্বতী।


সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মৃত্যুর পর পূণরুত্থানের প্রতি ইমান

সোমবার, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে
মৃত্যুর পর পূণরুত্থানের প্রতি ইমান


মৃত্যুর পর পূণরুত্থানের প্রতি ইমান
আল্লাহ তাআলা যে পর্যন্ত চাইবেন মানুষ হাশরের ময়দানে দাড়িয়ে থাকবেন। যখন সেই সময় আসবে, যখন আল্লাহ তাদের থেকে হিসাব নেওয়ার ইচ্ছা করবেন, তখন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিবেন আর সমস্ত আমলনামা নিয়ে আসা হবে, যা কিরামান কাতিবীন ফেরেশতাদ্বয় লোকদের কার্যকলাপ লিপিবদ্ধ করেছিল।

আর তা মানুষদেরকে এভাবে দেয়া হবে যে, কারো আমলনামা সোজা হাতে, কারো আমলনামা উল্টা হাতে আবার করো আমলনামা তার পিছন দিক হতে দেয়া হবে। যাদের আমলনামা সোজা হাতে দেয়া হবে তারা হবে সৌভাগ্যবান। আর যাদের আমলনামা বিপরীত দিক হতে দেয়া হবে তারা হবে হতভাগ্য।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
ألا يظن أولئك أنهم مبعوثون ليوم عظيم يوم يقوم الناس لرب العالمين
তারা কি চিন্তা করে না যে, উহারা পুণরুত্থিত হবে, মহাদিবসে? যেদিন সমস্ত মানুষ দণ্ডায়মান হবে তার প্রতিপালকের সম্মুখে।– সূরা তাতফীফ ৪-৬

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন-
يقوم الناس يوم القيامة لرب العالمين حتى يغيب أحدهم في رشحه إلى أنصاف أذنيه
কিয়ামতের দিন মানুষ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সামনে দন্ডায়মান হবে। এমনকি তারা তাদের কানের লতি পর্যন্ত ঘাম দ্বারা ডুবে যাবে।-রিওয়ায়ায়াত ২৫৭

হযরত মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি-
تدني الشمس يوم القيامة من الخلق حتى تكون منهم كمقدار ميل
কিয়ামতের দিন মানুষকে সূর্যের নিকটবর্তী করে দেয়া হবে। এমনকি তা মানুষের এক মাইলের নিকটবর্তী হয়ে যাবে।

বর্ণনাকারী সুলায়মান ইবনে আমির (রহ) বলেন-  আল্লাহর শপথ! আমি জানি না, (ميل) মাইল দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে, জমীনের দূরত্ব নাকি না (ميل নামক) ঐ শলাকা যা চোখে সুরমা দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।
মানুষ তাদের আমল অনুসারে ঘামের মাঝে ডুবে থাকেবে। তাদের কারো ঘাম পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত হবে, কেউ হাটু পর্যন্ত ঘামের মধ্যে থাকবে, কেউ কোমর পর্যন্ত আর কারো মুখ পর্যন্ত ঘামে ডুবে যাবে।  
বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় রাসূলুল্লাহ (সা) নিজ মুখের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।–রিওয়ায়াত ২৫৮
চলেবে..


বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সিহাহ সিত্তাহ এর পরিচয়

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

 

সিহাহ সিত্তাহ এর পরিচয়

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা, কাজ, বাণী ও মৌনসম্মতিকে হাদিস বলে। রাসূল (সাঃ) এর জীবদ্দশায় হাদিস সংকলন করা নিষিদ্ধ ছিল। তাই রাসূল (সাঃ) এর শেষ জীবন ও পরবর্তী সময়ে হাদিস সংকলন শুরু হয়। আর সেই সংকলনের বিশুদ্ধতম ৬ টি হাদিস গ্রন্থই হলো সিহাহ সিত্তাহ।

সিহাহ সিত্তাহ এর পরিচয়

সহিহ আরবি শব্দ। যার বহুবচন হলো সিহাহ। সিহাহ অর্থ হলো বিশুদ্ধ, নির্ভুল। আর সিত্তা অর্থ হলো ছয়। অর্থাৎ, শব্দ দুটির অর্থ হলো বিশুদ্ধ ছয়খানা অর্থাৎ, হাদিসের ছয়টি বিশুদ্ধ গ্রন্থ।

হাদীসের প্রধান ৬ টি গ্রন্থকে একত্রে সিহাহ সিত্তাহ বলা হয়। এটি দ্বারা “নির্ভুল ৬” বুঝানো হয়।

ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায়, “হিজরী ৩য় শতাব্দীতে হাদিস গ্রন্থের যে ৬ টি বিশুদ্ধ গ্রন্থ সংকলন করা হয় তাই সিহাহ সিত্তাহ।

জমহুর মুহাদ্দিসিন-ই-কিরামের মতে, “হাদিস শাস্ত্রের বিশুদ্ধতম ৬ টি সংকলনকে একত্রে সিহাহ সিত্তাহ বলে।”

মুহাদ্দিসগণ বলেন, “হাদিস শাস্ত্রে যে ৬ খানি সংকলনের বিশুদ্ধতা ও প্রমাণের ব্যাপারে সর্বজন বিদিত ও স্বীকৃত তাই সিহাহ সিত্তাহ।”

এ গ্রন্থগুলো নবী (সাঃ) এর মৃত্যুর ২০০ বছর পর ৬ জন সংগ্রহকারীর দ্বারা সংগৃহীত হয়েছে।


সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থ ও এর সংকলক

সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থ ৬ টি। এগুলো হলো –

গ্রন্থের নাম সংকলকের নাম হাদিসের সংখ্যা

সহিহুল বুখারি -আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আল বুখারী-৭২৭৫ টি

সহীহ মুসলিম -আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ ইবনে মুসলিম-৯২০০ টি

জামিউত তিরমিজী- আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা আত তিরমিজী -৩৬০৮ টি

সুনানে আল নাসাঈ -আবু আব্দুর রহমান আহমদ ইবনে আলী ইবনে শোয়াইব -৫৭৫৮ টি

সুনানে আবু দাউদ  -আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে আস আম- ৫১৮৪ টি

সুনানে ইবনে মাজাহ -আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযিদ ইবনে মাজাহ- ৪৩৪১ টি


সহিহ হাদীস সমগ্র সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থ ৬ টি এখানে ক্লিক করুন



সন্তানাদি ও আবাসস্থল নিরাপদের জন্য দো‘আ:

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২ 0
বার দেখা হয়েছে

 

সন্তানাদি ও আবাসস্থল নিরাপদের জন্য দো‘আ:


উচ্চারণ: রাববিজ‘আল হা-যা বালাদান্ আ-মিনাওঁ ওয়ারঝুক্ব আহলাহূ মিনাছ্ছামারা-তি মান আ-মানা মিনহুম বিল্লা-হি ওয়াল ইয়াওমিল আ-খিরি।

অর্থ: “পরওয়ারদেগার! এ স্থানকে তুমি শান্তির স্থান কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও ক্বিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস করে তাদেরকে ফলমূল দ্বারা রিযিক দান কর।” [বাক্বারাহ: ১২৬]

উৎস: ইবরাহীম (আঃ) যখন আল্লাহ্র নির্দেশে তাঁর শিশুসন্তান ইসমাঈলকে ও তাঁর স্ত্রী হাযেরাকে জনমানবশূন্য প্রান্তর বর্তমান কা‘বা ঘর ও যমযম কূপের সন্নিকটে রেখে আসেন, তখন উক্ত দো‘আ করেন। যাতে করে এই জনমানবহীন মরুপ্রান্তর নিজ পরিবার-পরিজনের জন্য একটি শান্তির শহরে পরিণত হয়, যাতে এখানে বসবাস করা আতংকজনক না হয় এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সহজলভ্য হয়। শহরটি যেন হত্যা, লুণ্ঠন, কাফেরদের অধিকার স্থাপন, বিপদাপদ থেকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ হয়। ইবরাহীম (আঃ)-এর দো‘আর ফলেই আল্লাহ তা‘আলা মক্কাকে সম্মানিত ও নিরাপদ রেখেছেন, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে দিয়েছেন। 


উৎস: ছহীহ কিতাবুদ দো‘আ, মোঃ নূরুল ইসলাম

*  ইবনু কাছীর, তাফসীর আল-কুরআনুল আযীম, পৃঃ ২২৬; বুখারী হা/৩১২২।



ফটো গ্যালারী

1/6
ওহুদ যুদ্ধ - হযরত মহাম্মদ (সা:) এর বিপ্লবী জীবন
2/6
মুসলিম নারীর বিধান
3/6
ইসলামি অর্থনীতিতে উপার্জন ও ব্যয়ের নীতিমালা
4 / 6
ইসলামীক জিজ্ঞাসাঃ লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
5/6
মসজিদে নববী যিয়ারতের কিছু আদব-কায়দা
6/6
উম্মাতে মুসলিমার দায়িত্ব

Islam-icon Profile.png